রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দোকানে দোকানে ঘুরছে আস্ত একটি হাতি। হাতির পিঠে মাহুত। তিনি নানা রকম শব্দ করে ও নির্দেশ দিয়ে হাতিটি পরিচালিত করছেন। আর হাতি তার শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে দোকানদারের দিকে। কোনও দোকানদার স্বেচ্ছায়, কেউ কেউ ভয়ে তার শুঁড়ে বাড়িয়ে কিংবা গুঁজে দিচ্ছেন টাকা। টাকার পরিমাণ সন্তোষজনক না হলে হাতি আবার নারাজ হয়। তখন তার শব্দ আর শুঁড়ের নাড়ানাড়িতে ভয়ে দোকানদার আরেকটু বড় নোট বাড়িয়ে ধরে হাতিকে বিদায় করছেন। তবে হাতির যেহেতু পকেট নেই, তাই হাতি প্রতিবারই টাকা বাড়িয়ে দিচ্ছে তার মাহুতের দিকে। আর সে টাকা ঢুকছে মাহুতের পকেটে। রাজধানী শহরে হাতির সাহায্যে এই টাকা কামানোকে চাঁদাবাজি হিসেবে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের অভিযোগ, হাতির সাহায্যে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে কয়েক ব্যক্তি। প্রশিক্ষপ্রাপ্ত কয়েকটি হাতি নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিতভাবে ঘুরে ঘুরে এই চাঁদাবাজি চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে হাতি দেখানো ও চাঁদাবাজি একসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে হাতির মালিক ও মাহুতরা। শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এমনই একটি হাতির চাঁদাবাজির দৃশ্যবন্দি হয় বাংলা ট্রিবিউনের ক্যামেরায়।
দোকানে দোকানে ঘুরছে হাতি। প্রদর্শনী নয়, উদ্দেশ্য চাঁদাবাজি। অবশ্য, হাতির খোরাক যোগানোর কথা বলে এভাবে চাঁদা তোলার ঘটনা এই উপমহাদেশে কয়েকশ বছরের পুরনো রীতি। বিভিন্ন বই-পুস্তকে এমন ঘটনার কথা জানা যায়। তবে আগে মানুষ হাতিদর্শন উপভোগ করে নজরানা দিলেও এখন ঘন ঘন একই এলাকায় হাতি দিয়ে টাকা ওঠানোকে চাঁদাবাজি হিসেবে দেখছেন সাধারণ দোকানদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।