শাহজালাল থেকে আমদানিকৃত ৯০০ মোবাইল সেট উধাও!

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজ থেকে ৯০০ মোবাইল না পাওয়ার অভিযোগ করেছে এক্সেল টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেড। আমদানি কার্গো ভিলেজের দায়ীত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সেটগুলোর কোনও সন্ধান দিতে পারেনি। তবে এ ঘটনায় মামলা করেছে আমাদানিকারী প্রতিষ্ঠান। এতে চুরি যাওয়া মোবাইলসহ একজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গেো ভিলেজ থেকে ৯০০ মোবাইল সেট চুরি হওয়ায় গত ৬ আগস্ট এই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয় (মামলা নং-৭)। ইতোমধ্যে চোরাই মোবাইল ব্যবহারকারী আলিম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এক্সেল টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেড গত ৬ জুলাই ( ইনভয়েস নম্বর ৯০১২৫৩৬১৮৩) হংকং থেকে বিভিন্ন মডেলের স্যামসাং মোবাইল ফোন সেট আমদানি করে। আমদানীকৃত মোবাইল ফোন সেট গুলি গত ৮ জুলাই ইওয়াই ৯৮০৭ বিমানে করে বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আসে। পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তত্বাবধায়নে ওয়ার হাউজে সেগুলো সংরক্ষিত থাকে। প্রতিষ্ঠানিটির মনোনিত সিএফএইচ এজেন্ট মমতা ট্রেডিং এর চেয়ারম্যান এসএম নাজমুল আলম ঢাকা কাস্টম হাউসসহ আনুসাঙ্গিক কাযক্রম সম্পন্ন করে ১২ জুলাই সকাল ১০ টার দিকে আমদানিকৃত মোবাইল গুলি ছাড় করানোর জন্য ওয়ার হাউজে গেলে পণ্য চালানের ৯০০ পিস (১ প্যালেট) স্যামসাং মোবাইল ফোন সেট পাওয়া যায়নি।
৯০০ পিস মোবাইল ফোন সেট গুলো ৮ জুলাই থেকে ১২ জুলাই সকাল ১০ টার মধ্যে কোনও এক সময় ওয়ার হাউজ থেকে চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি টাকা। চুরি যাওয়া মোবিইল ফোন সেটগুলির আইএমই নম্বরও রয়েছে আমদানিকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে। চুরি যাওয়া মোবাইল গুলোর সন্ধান এবং মেবাইল নাম্বার গুলোর আইএমই নাম্বার সংগ্রহ করে থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম সিদ্দীক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চুরি যাওয়া মোবাইল সেটসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। ’
এক্সেল টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুইটি মোবাইল আমরা সচল পেয়েছিলাম। সেগুলোর আইএমই নম্বর থানায় দিয়েছি। ইতোমধ্যে একজন মোবাইল ব্যবহৃতকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে রিমান্ডে আছে।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ ঘটনাটি অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। ’