‘চামড়ার দাম কম নির্ধারণ কওমি মাদ্রাসা ধ্বংসের চক্রান্ত’

সংবাদ সম্মেলনে কওমি ফোরামের নেতারাকোরবানির পশুর চামড়ার দাম ২০১৩ সালের তুলনায় এবার অর্ধেকের চেয়ে কম নির্ধারণ করে দেশের কওমি মাদ্রাসা এবং চামড়া খাতকে ধ্বংসের  চক্রান্ত করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশ্রয় পাওয়া ট্যানারি সিন্ডিকেট। সোমবার (২০ আগস্ট) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কওমি ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংগঠনের সমন্বয়ক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন।

সংবাদ সম্মেলনে কওমি ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়,  ২০১৩ সালে সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, আর ঢাকার বাইরে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে কেনা হয়। সারাদেশে তখন প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এবার প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর খাসির চামড়ার দাম ধরা হয়েছে প্রতিফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা। অর্থাৎ ছয় বছরে ক্রমানয়ে কমিয়ে এনে এবছর চামড়ার দাম কমানো হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কওমি মাদ্রাসাগুলোর ২০ লাখ ছাত্র-শিক্ষক ঈদের আনন্দ বাদ দিয়ে চামড়া সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকে। এবছর চামড়ার যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে চামড়া সংগ্রহের যাতায়াত ব্যয়ের টাকা উঠানোও কঠিন হবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে কওমি মাদ্রাসাগুলো চামড়া সংগ্রহের কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। আর তখন সারাদেশের আনাচে-কানাচের কোরবানির চামড়া সংগ্রহ করা সরকার এবং ট্যানারি সিন্ডিকেটের পক্ষে সম্ভব হবে না। ফলে চামড়া শিল্পে নেমে আসবে কঠিন বিপর্যয়। কোরবানির চামড়ার ন্যায্য মূল্যের ওপর গরিব ও এতিমদের হক আদায়ে ব্যর্থতার দায়ভার নিতে হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকার ও ট্যানারি সিন্ডিকেটকে। কারণ, কোরবানির চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে সংগৃহীত অর্থ গরিব এবং এতিমদের মাঝে বিতরণ ওয়াজিব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মাওলানা রুহুল আমীন সাদী, মুফতি এনায়েতুল্লাহ প্রমুখ।