সচেতনতা বাড়ায় কমেছে নবজাতকের মৃত্যুহার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম (ফাইল ছবি)

দেশে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির কারণেই নবজাতকের মৃত্যুহার কমেছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘জাতীয় নবজাতক স্বাস্থ্য কর্মসূচি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নবজাতকের মৃত্যুরোধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘হেলথ পপুলেশন নিউট্রিশন সেক্টর প্রোগ্রাম’র আওতায় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে নবজাতক স্বাস্থ্য কর্মসূচি শুরু হয়।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘নবজাতকের মৃত্যুহারের দিক থেকে শ্রীলংকার পর বাংলাদেশের অবস্থান। ২০৩০ সাল নাগাদ নবজাতকের প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু শূণ্যে নামিয়ে আনতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার নবজাতকের জীবনরক্ষাকারী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো। এই উন্নতির ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক অবদান রেখেছে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার আমরা কমিয়েছি। এমনকি, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অপরিণত জন্মের কারণে সৃষ্ট জটিলতা ও মৃত্যুরোধ, জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা ও সংক্রমণরোধ ও ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার জেলা ও উচ্চ পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে নবজাতকের বিশেষ সেবা ইউনিট স্থাপন করেছে। এর পাশাপাশি সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স, জেলা পর্যায় ও উচ্চতর হাসপাতালগুলোর মান উন্নীতকরণ এবং দক্ষ সেবাদানকারীর মাধ্যমে গুণগত সেবাপ্রদান নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এএইচএম এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন– স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. সুলতান মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।