দিনাজপুরের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন

দুর্নীতি দমন কমিশন


দিনাজপুর সদর উপজেলার সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার এস এম আসাদুজ্জামান ফেরদৌসের বিরুদ্ধে  এক কোটি ১৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৯২ লাখ ২৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার এ মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এস এম আসাদুজ্জামান ফেরদৌস ২০১৭ সালের ২১ মে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জনের ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ১ কোটি ৪৪ হাজার-টাকার স্থাবর ও ২ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ।
দাখিল করা সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে দুদক কর্মকর্তারা তার নামে ২ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর ও ৮ লাখ ২২ হাজার ৩শ ২৩ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের সন্ধান পান। যা সর্বমোট ২ কোটি ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৩২৩ টাকা। সম্পদ বিবরণীতে তিনি এক কোটি ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।
এদিকে আয়কর নথি অনুযায়ী, আয়কর পরিশোধ ও পারিবারিক ব্যয়সহ মোট খরচ পাওয়া যায় ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮৪ টাকা। মোট ব্যয়সহ তার নামে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায়  ২ কোটি ৫২ লাখ ৩২ হাজার ৭ টাকা। এই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ৬০ লাখ ৬ হাজার ৫৪০ টাকা। তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯২ লাখ ২৫ হাজার ৪৬৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পান দুদক কর্মকর্তারা।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধান করেন টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল আলম। আসামি এস এম আসাদুজ্জামান ফেরদৌসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) এ মামলা দায়ের করা হবে টাঙ্গাইল সদর থানায়।