জেএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অভিভাবকদের সহযোগিতা চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী

১১১

পরীক্ষায় নকল ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের পেছনে দৌড়ানো থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত রাখতে শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আগামী নভেম্বরের জেএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে তিনি সহযোগিতা চেয়েছেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা-২০১৮: কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাতির স্বার্থে সবার সচেতনতা প্রয়োজন। নৈতিক মূল্যবোধ জাগরণের মাধ্যমে যেকোনও ধরনের অনিয়ম থেকে অভিভাবক-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং নকল প্রবণতা ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের পেছনে দৌড়ানোর এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

আসন্ন জেএসসি পরীক্ষা নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সকলের সহযোগিতা চাচ্ছি।’

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্যের অবসান ঘটিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে লক্ষ্য অর্জনে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করতে শিক্ষার্থীদের যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আধুনিক ও দক্ষ নাগরিক তৈরির পাশাপাশি আমরা ভালো মানুষ তৈরি করতে চাই। আমাদের শিক্ষার মান অনেক বাড়াতে হবে। তবে মান বাড়ছে না, একথা ঠিক নয়। এসডিজি-৪ এর লক্ষ্য হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। মান বাড়ানো এখন সারা দুনিয়ার চ্যালেঞ্জ। আমরা সে কাজটাই করছি।’

ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. গোলাম ফারুক।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী।

সংবর্ধনা পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া তাবাসসুম মোস্তফা অথই এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া আতিয়া ফাইরুজ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসএসসিতে ১৭ জন এবং এইচএসসিতে ৬ জন, সর্বমোট ২৩ জন  জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও বৃত্তি দেওয়া হয়। এরা সবাই ডিআরইউ সদস্যদের সন্তান।