হয়রানি বন্ধে রিটার্ন দাখিল সহজ করতে হবে: প্রধান বিচারপতি



৩৩৩৩

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, করের বিস্তৃতি প্রসারের জন্য করবান্ধব সংস্কৃতি চালু করতে হবে। জনগণ যাতে অযথা হয়রানি না হয়, সেই লক্ষ্যে রিটার্ন দাখিল ও সম্পদবিবরণী দাখিলের পদ্ধতি সহজ করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প বিরোধের মাধ্যমে কর মামলাগুলো নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে অধিক মনোযোগী হলে কর তথা রাজস্ব সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
শনিবার সন্ধ্যায় (২২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে মাসিক পত্রিকা ‘করাদালত’-এর তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘বলা হয়, যারা কর দেন তারাই সমস্যার মুখে পড়েন, আর যারা কর দেন না তাদের কোনও সমস্যা হয় না। এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কর আইন অত্যন্ত ড্রাই ও জটিল বিষয়। কর আইন হচ্ছে এমবিগুয়াস। আইন যদি এমবিগুয়াস হয় তাহলে সেখানে স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ থেকে যায় এবং জনগণ হয়রানির মুখে পড়ে। আমাদের দেশের বিদ্যমান কর আইনকে গবেষণা করে আরও সহজীকরণ করা হলে জনগণ কর দিতে উৎসাহিত হবে।’ কর ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা এখন সময়ের দাবি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সরকার রাজস্ব আয় বর্ধিত করার উদ্দেশ্যে করনীতি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআর রাজস্বের ৫০ শতাংশ আয়কর খাতে আদায়ের লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। একদশক আগেও এনবিআর আয়কর খাতে রাজস্বর মাত্র ২০ শতাংশ আদায় করতো। এরই মধ্যে সরকার এ হারকে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করেছে, যা আমাদের আশাব্যঞ্জক এবং পরার্থপরতার অর্থনীতি থেকে আমরা পরিত্রাণ পাচ্ছি। আশা করি কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে।’
করাদালত পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আইনজীবী আবু আমজাদের সভাতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমীরুল ইসলাম, বার কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম এবং ট্যাক্সেস ল’ইয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল হুদা।