জনগণের টাকায় চোর-বাটপার পালা যাবে না: সাঈদ খোকন


received_182991482614397ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে। মূলধন নেই। এ অবস্থা কাম্য নয় মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, জনগণের টাকায় চোর-বাটপার লালনপালনের কোনও মূল্য নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে পালিয়ে যাবে। সেই টাকা জনগণের।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) নগর ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত জরিপ, করনেট সম্প্রসারণ ও করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক এক সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে মূলধন দিচ্ছে সরকার। তাও জনগণের টাকায়। এটা কাম্য নয়। জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় চোর-বাটপারদের পুনর্বাসন করার কোনও সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের পয়সার স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তাহলে সবাই কর সঠিক সময়ে দেবে।’
এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে উপকর দাবি করেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘এ বছর ১২০ কোটি টাকা জাতীয় রাজস্ব রোর্ডকে দিয়েছে ডিএসসিসি।’
‘আমরা যেভাবে দিতে চাই, সেভাবে নিতে চাই’— এমন মন্তব্য করে মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯-এর চতুর্থ তফসিলে ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, সিটি করপোরেশন এলাকায় সরকার যে কর আদায় করবে, সেখান থেকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে একটা উপকর দেবে। এটা আইনে পরিষ্কার বলা আছে।’
সাঈদ খোকন বলেন, ‘বিগত সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে এ বিষয়ে। তিনি একমত পোষণ করেছেন।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের নাগরিকদের বছরে পাঁচ হাজার টাকা মাত্র ট্যাক্স। যা অনেকে জানেন না কিংবা ভয়ে জানতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে একটা উদ্যোগ নেওয়া হবে। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদের টিআইএ নম্বর শুধু দিলে হবে না, রিটার্ন দাখিলের কপি দেখাতে হবে।’
একইসঙ্গে যারা ফ্লাট-বাসায় থাকেন তাদের সবার কাছে কি খোঁজ নেওয়া হবে তারা ট্যাক্স দেন কিনা? এমন উদ্যোগ শিগগিরই নেওয়া হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী এক বছরের মধ্যে ট্যাক্স রেজিস্ট্রেশন দ্বিগুণ বাড়ানো হবে। রিটার্ন দাখিলের সংখ্যাও দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হবে।’
এ জন্য ট্যাক্স অফিসকে আয়কর মেলার রূপ দিতে হবে। সেই সঙ্গে ট্যাক্স অফিসের সব কর্মকর্তার ব্যবহার ভালো করার পাশাপাশি অফিসের পরিবেশ উন্নত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর কমিশনার (ঢাকা অঞ্চল) মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, সদস্য (আয়কর জরিপ ও পরিদর্শক) মোহাম্মদ গোলাম নবী, বিজিএমইএ পরিচালক মো. মনির হোসেন প্রমুখ।