ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮ পরিবারকে বিমার টাকা পরিশোধ




ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের আট পরিবারকে ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ করেছে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সনেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের আট পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করেছে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ফিরোজ হাসান বিমা দাবির চেক হস্তান্তর করেন।

দুর্ঘটনায় নিহতদের ছয় পরিবারের প্রত্যেককে ৫১ হাজার ২৫০ ইউএস ডলার করে দেওয়া হয়। এছাড়া আহতদের দুই পরিবারের প্রত্যেককে ৪২ হাজার ইউএস ডলার করে দেওয়া হয়। আজ সর্বমোট তিন লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ ইউএস ডলারের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়।

এর আগে দুর্ঘটনার শিকার আট পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণের চার লাখ ১০ হাজার ইউএস ডলার বিতরণ করা হয়। আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর অবশিষ্ট ৯ পরিবারের মধ্যে ক্ষতিপূরণের বাকি অর্থ প্রদান করা হবে বলে জানায় সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ফিরোজ হাসান বলেন, সেনাকল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বিগত ৩ বছর যাবৎ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। যেহেতু সেনাকল্যাণ সংস্থা একটি কল্যাণমুখী সংস্থা, তাই তার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে কাজ করাই সেনাকল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির মূল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের ইতিহাসে ১২ মার্চ একটি কালো দিন হিসেবে থেকে যাবে। এদিন নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান যাত্রী নিয়ে অবতরণকালে দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিমানটিতে চারজন ক্রু ও ৬৭ জন যাত্রীসহ মোট ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে চারজন ক্রুসহ মোট ২৭ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন নেপালি এবং একজন চীনা যাত্রী নিহত হন। এছাড়াও ওই ঘটনায় ৯ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি ও মালদ্বীপের একজন নাগরিক আহত হন।