পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক, সিন্ডিকেট সদস্য বজলুল মজনুন চুন্নু, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম কুমার সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।
গত বছর ২০১৭-১৮ সেশনে ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এই পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকেই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরেও কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের (১২ অক্টোবর) ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষার আগেই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি একজন ভর্তিচ্ছু’র মোবাইলে সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে প্রশ্ন পাওয়ার প্রমাণ পায়। এই প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ১৬ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করে। এতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আইন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের একজন ছাত্র অনশন শুরু করেন। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। ছাত্রলীগ যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবিসহ চার দফা দাবি জানায়। এরপর সোমবার (২২ অক্টোবর) প্রশ্নফাঁস নিয়ে এই অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।