কাল ‘শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি’ ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি: ফোকাস বাংলা )‘শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক  সার্জারি’ উদ্বোধন করা হবে আগামীকাল বুধবার (২৪ অক্টোবর)। এদিনে সকাল দশটায় ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করবেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইনস্টিটিউটটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখন করলেও এর কাজ শুরু হবে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে। সব যন্ত্রপাতি কেনা হলে এরপর এই কার্যক্রম শুরু হবে ‘ 

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভেতরেই গড়ে তৈরি করা হচ্ছে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির অত্যাধুনিক চিকিৎসাসেবাসম্পন্ন ১৭ তলা বিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউট।  

এই প্রসঙ্গে ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চাকরি জীবন শুরু করেছিলাম বার্ন ইউনিটের মাত্র পাঁচটি শয্যা দিয়ে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। এখন সেই বার্ন ইউনিট একটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। পুরো বিষয়টা ভাবতে গেলে স্বপ্নের মতো লাগে।’ তিনি বলেন, ‘৯১২ কোটি টাকা বাজেটে গড়া স্বপ্নের শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির এখন নির্মাণের শেষ পর্যায়ে।  তবে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে সব যন্ত্রপাতি আনা সাপেক্ষে ৬ মাস পর।’

ইনস্টিটিউটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাকিল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এখানে ১০টি মডিউলার  (অত্যাধুনিক) অস্ত্রোপচার কক্ষ (ওটি) তৈরি করছি। এই প্রকল্পের বাজেট ৯১২ কোটি টাকা। কনস্ট্রাকশন সাইটে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকার মতো। মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি কিনতে ৩১৪ কোটি টাকার মতো বাজেট ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সব যন্ত্রপাতি ইউরোপ থেকে কেনা হচ্ছে। সামান্য কিছু জিনিস যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে আনা হচ্ছে। ৬টা অ্যাম্বুলেন্স, ১টা জিপ, ১টি কার ও বাসসহ মোট ১২টি গাড়ি কেনা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘৬ লাখ ৬২ হাজার স্কয়ার ফুট আয়তনের এই ইনস্টিটিউটটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি এই দুই ইউনিটে বিভক্ত। এর একেকটা ফ্লোরের আয়তন ৩৬ হাজার স্কয়ার ফুট। ১৬টি লিফট ও পাঁচটি সিঁড়ি থাকছে এই ১৭ তলা ভবনে। ২৪টি ডাবল বেডের কেবিন এবং ২৮টি সিঙ্গেল বেডের কেবিনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে এই ইনস্টিটিউটে। শয্যা সংখ্যা ৫০০। এই ইনস্টিটিউটে একসঙ্গে ১০ জন রোগীর অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা থাকবে। আর দূরের রোগীদের সরাসরি ইনস্টিটিউটে আসার সুবিধার জন্য ছাদে থাকবে হেলিপ্যাডও।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এপ্রিলে এই ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২৯ জুন থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়।