এলএনজি টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ প্রকল্পে নিরাপত্তা বাড়াতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের জনবল বাড়ছে

বাংলাদেশ সরকার

মহেশখালীতে ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণ ও মাতারবাড়িতে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে কক্সবাজার জেলা পুলিশে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ১১৫ জনবল। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ ও এনটিএমসি) মো. নুরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এলএনজি টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ প্লান্ট এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে আরও ১১৫ লোকবল যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার জেলা পুলিশে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল এবং মাতারবাড়িতে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ শুরু করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এই দুটি প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের বাড়তি জনবল প্রয়োজন। এই বাড়তি জনবলের প্রয়োজনে পুলিশ সদর দফতর ২৮৫ জনবল ও ৩৬টি যানবাহনের প্রস্তাব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে।

পুলিশের ওই প্রস্তাবের পর জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ ১১৫ জনবল ও ১৩টি যানবাহনের প্রস্তাব দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ১ নভেম্বরের প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় উত্থাপন করে। প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলায় যুক্ত হচ্ছে সশস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক চার জন, নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক একজন, সশস্ত্র সহকারী পুলিশ পরিদর্শক নয় জন, নিরস্ত্র সহকারী পুলিশ পরিদর্শক দুই জন, সশস্ত্র সহকারী উপপরিদর্শক ১৩ জন, নায়েক ৩০ জন, কনস্টেবল ৫০ জন, বাবুর্চি তিন জন (আউট সোর্সিং) ও পরিচ্ছনতাকর্মী তিন জন (আউট সোর্সিং)।

এছাড়া কক্সবাজার জেলা পুলিশে নতুন করে যুক্ত হবে দুটি ডাবল কেবিন পিকআপ, একটি প্রেট্রোল বোট, ১০টি মোটর সাইকেলসহ মোট ১৩টি যানবাহন।