সুন্দরবনে ২২টি হরিণ শিকারের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ


হাইকোর্ট
সুন্দরবনে ২২টি হরিণ শিকারের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী তিন মাসের মধ্যে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সুন্দরবন সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, শ্যামনগর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ১৬ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামছুল হক।     
এর আগে গত ৮ জুলাই সুন্দরবনে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে ২০টি জবাইকৃত হরিণ ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এ সময় শ্যামনগর থানার এসআই লিটন, এসআই হাবিব, এএসআই মামুন ও ফজলুল করিম, কনস্টেবল আলমগীর, কনস্টেবল সাইফুল্লাহ, কনস্টেবল উত্তম কুমার, ইন্টারপোলের কালো তালিকাভুক্ত বাঘ শিকারী আব্দুস সাত্তার মোড়ল, তার সহযোগী আনোয়ারুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আলী হোসেন, মনজু, সামাদ, বিকাশ, আকজান, ইউসুফ, এবং বাচ্চুকে আটক করে।
কিন্তু, বন বিভাগকে মামলা করতে না দিয়ে শ্যামনগর থানার এসআই লিটন নিজেই বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। ওই মামলায় মাত্র তিনটি হরিণ ও তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়। আর আসামি করা হয় মাত্র ৬ জনকে।
এরপর সুন্দরবন থেকে ২২টি হরিণ শিকারের ঘটনা গত ৯ জুলাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে ওই এলাকার বাসিন্দা ও সাপ্তাহিক নয়া বার্তার সম্পাদক আবু বকর জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।