ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, ২৯ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন (ফাইল ছবি)সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানি ২৯ নভেম্বর। মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন এ তারিখ ঠিক করেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম এই তথ্য জানান

পিপি বলেন, ‘আগামী তারিখে (২৯ নভেম্বর) ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য আদালত থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট পাঠানো হবে। একইসঙ্গে ওই দিন অভিযোগপত্র গ্রহণ করবেন আদালত।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মামলার অভিযোগপত্রটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত (সিএমএম) থেকে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বিচার জন্য পাঠানো হয়।

এরআগে, গত ১১ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী অভিযোগপত্র স্বাক্ষর করে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। গত ৯ নভেম্বর গুলশান থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শন আমিনুল ইসলাম অভিযোগপত্রটি আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় দাখিল করেন।

গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বাদী মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সদস্য সুমনা আক্তার লিলি। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানাকে এজহার গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এরপর গত ১ নভেম্বর এ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফেতার দেখানো হয়। মামলা দায়েরের ১৬ দিনের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৬ অক্টোবর রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল-৭১-এ প্রচারিত মিথিলা ফারজানা সঞ্চালিত টক শো ৭১ জার্নাল চলার সময় ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে মাসুদা ভাট্টি  প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন, আপনি বলেছেন, একজন নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বলেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকেন।’ মাসুদা ভাট্টির এই কথার জবাবে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনাকে আমি চরিত্রহীন বলে মনে করতে চাই।’ একজন নারীর প্রতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এমন ইচ্ছাকৃত ধারাবাহিক কুৎসা রটনা ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য মাসুদা ভাট্টি ও নারী জাতির প্রতি অপমানজনক বলে বাদী মনে করেন। প্রকাশ্যে এ ধরনের বক্তব্য প্রকাশ করার কারণে মইনুল হোসেন মাসুদা ভাট্টি তথা নারী জাতির সম্মানহানি নিরসনের লক্ষ্যে আজ পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও  ক্ষমা চাননি এবং দুঃখ প্রকাশও করেননি বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।