‘পাঠাভ্যাস কমায় শেকড়হীন বৃক্ষে পরিণত হচ্ছে নবীন প্রজন্ম’

01‘সাংস্কৃতিক আড্ডা, পারস্পরিক মত-বিনিময় এবং পাঠ্যাভ্যাস কমায় ক্রমেই অনুভূতিহীন এক যান্ত্রিক সমাজ তৈরি হচ্ছে। অসহিষ্ণু হচ্ছে মানুষ। এছাড়াও সাহিত্যে আবহমান কালের সম্প্রীতি, প্রান্তিক জীবনাচার এবং লোকজ ঐহিত্য তুলে না ধরায় শেকড়হীন বৃক্ষে পরিণত হচ্ছে নবীন প্রজন্ম।’ শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) বাংলামটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেনদিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে তরুণ সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক আব্দুল্লাহ আল ইমরানের ‘দিবানিশি’ উপন্যাসের পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এই পাঠ-পর্যালোচনার আয়োজন করে অন্বেষা প্রকাশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ। এছাড়া উপন্যাসটির নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনায় অংশ নেন শিল্পী সব্যসাচী হাজরা, সাংবাদিক মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ডা. রাজিয়া রহমান জলি, লেখক কিঙ্কর আহসান, সাহিত্য সংসদের সভাপতি অপূর্ব আরিয়ান দাস, আইটি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আরিফ দেওয়ানসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অন্বেষার প্রকাশক মো. শাহাদাত হোসেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে দেবী মনসার পূজা-অর্চনার ঐহিত্যবাহী ধারা প্রচলিত। এখনও রাতভর রয়ানী গীতের আসর বসে। ‘মনসামঙ্গল' কাব্যের এমন প্রভাবের মধ্যেও মারফতি নূরে উদ্ভাসিত ধীমান মানুষেরা অন্য এক জগত তৈরি করেছেন। উপন্যাসে ইতিহাস এবং লোকজ মিথের আশ্রয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে বহমান এক জনপদের দিন-রাতের গল্প বলেছেন লেখক।’

অনুষ্ঠান শেষে ‘বই পড়ুন ল্যাপটপ জিতুন’ স্লোগানে অন্বেষা ও সাহিত্য সংসদ আয়োজিত একটি বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার মোড়ক উন্মোচন করেন কবি মুহম্মদ সামাদ। আয়োজনের শেষ পর্বে আবদুল্লাহ আল ইমরান ‘দিবানিশি’ উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট নিয়ে পাঠকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।