গুলশান লেকে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা


গুলশান লেকে ওয়াটার ট্যাক্সি (ফাইল ছবি)
রাজধানীর গুলশান লেকে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় পাকা বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই বাঁধ নির্মাণকালে লেকে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। এছাড়াও ওয়াটার ট্যাক্সির সৃষ্ট ঢেউয়ের আঘাতে গুলশান বাড্ডা লেকের তীরবর্তী ওয়াকওয়ে ধসের কারণে লেকপাড়ের ভবনগুলো ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়ায় ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিআইডব্লিউটি-এর চেয়ারম্যান এবং ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান করিম গ্রুপ, পুলিশের আইজি ও ডিএমপি কমিশনারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
এর আগে গুলশান সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, গুলশান লেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে লেকে ওয়াটার ট্যাক্সি চালুর পর স্রোতের আঘাতে গুলশানের ১৩৬ নম্বর থেকে ১৪৩ নম্বর সড়কে লেক তীরবর্তী এলাকায় ভূমি ধস, পাড়ের ভাঙন এবং ওয়াকওয়েতে ফাটল ধরায় লেক তীরবর্তী ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
পরে ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ বলেন, লেকপাড় বাঁধানো এবং ওয়াকওয়ে সংস্কারে এর আগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে কিছুদিন ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু, ওই লেক পাড়ে পাকা বাঁধ নির্মাণ না করে এবং ওয়াকওয়ে সংস্কার না করে আবারও ওয়াটার ট্যাক্সি চালানো শুরু করা হয়। এ অবস্থায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।