ভিকারুননিসার তিন শিক্ষককে বরখাস্ত, রবিবার থেকে নিয়মিত পরীক্ষা

 

136bb3ace6bd66c66be0ffbfd44f82d8-5c07a33a3533bমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে গভর্নিংবডি। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে দেওয়া এ নির্দেশনা সন্ধ্যার পর গভর্নিংবডির জরুরি সভায় কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গভর্নিংবডির চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত হওয়া তিন শিক্ষক হলেন অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও সহকারী শিক্ষক হাসনে হেনা।
গোলাম আশরাফ তালুকদার বলেন, ‘আমরা গভর্নিংবডির সদস্যরা সভা করে আমাদের অভিভাবক, মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছি। যেহেতু তারা তিনজনই মামলার আসামি, তাই গভর্নিংবডির সেক্রেটারি হওয়া সত্ত্বেও অধ্যক্ষকে এ সভায় রাখা হয়নি। আমরা এ বিষয়ে তিনজনকেই চিঠি দেবো।’ এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আরও কিছু কার্যক্রম বাকি রয়েছে। যেগুলো পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে।’
গভর্নিংবডির সদস্য আতাউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আগামী শনিবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে পূর্বনির্ধারিত রুটিনে পুনরায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থগিত হওয়া বুধবারের (৫ ডিসেম্বর) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর)। আর আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (৬ ডিসেম্বর) পরীক্ষা হবে আগামী মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর)।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জরুরি সভা চলছিল।
জরুরি সভায় গভর্নিংবডির চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদারসহ অন্যরা অংশ নিয়েছেন।
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শান্তিনগরের নিজ বাসা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, অরিত্রীর বিরুদ্ধে ফাইনাল পরীক্ষায় নকলের অভিযোগ তুলে তার বাবাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে অরিত্রীর বাবাকে জানানো হয় তার মেয়েকে টিসি দেওয়া হবে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল ওই ছাত্রীর সামনে তার বাবাকে অপমান করেন। টিসি দেওয়ার হুমকি ও বাবাকে অপমান করার বিষয়টি সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে। এ ঘটনার জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকদের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, স্কুলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, কথায় কথায় টিসি দেওয়ার ভয় দেখানো যাবে না, মানসিক সুস্থতার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে কাউন্সিলিং করাতে হবে, ভিকারুননিসার গভর্নিংবডির সব সদস্যকে অপসারণ করতে হবে।