সা’দপন্থীদের কাকরাইল থেকে বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবি বেফাকের

বেফাকমাওলানা সা’দ কান্ধলভী অনুসারীদের কাকরাইল মসজিদ থেকে বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক)। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে হেফাজত ও সা’দবিরোধী তাবলিগের মুরুব্বিদের নিয়ে বৈঠক করে বেফাক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের নায়েবে আমির ও বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী।


বৈঠকে তিন দফা দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়। তাদের তিনটি দাবি হচ্ছে (১) টঙ্গী ইজতেমা মাঠের মসজিদ, মাদ্রাসা অবমুক্ত করে ১ ডিসেম্বরের হামলার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া। সা’দ অনুসারী ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, খান শাহাবুদ্দিন নাছিম ও ইউনুস শিকদারকে স্থায়ীভাবে কাকরাইল মসজিদ থেকে বহিষ্কার করা। টঙ্গী মাঠে হামলার মূলহোতা হিসেবে মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর, মাওলানা মুনির বিন ইউসুফকে গ্রেফতার,
(২) শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সারা দেশের প্রত্যেক মসজিদে জুমার সময় টঙ্গী মাঠে হামলা সম্পর্কে আলোচনা, আহত ও নিহতদের জন্য দোয়া এবং দেশব্যাপী বাদজুমা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা।
(৩) ১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় সকাল ১০টায় হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফির সভাপতিত্বে দেশের আলেম ও সা’দবিরোধী তাবলিগের মুরুব্বিদের নিয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভা থেকে পরবর্তী বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, কাকরাইলের সা’দবিরোধী মুরুব্বি মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা ওমর ফারুক, বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলাম, হেফাজত নেতা মাওলানা আব্দুল হামীদ, মাওলানা সাজেদুর রহমান, আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা সফিউল্লাহ, মাওলানা ফয়জুল্লাহ, মুফতি জসিমউদ্দীন, হেফাজত নেতা ও বেফাকের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুযূল হক, বেফাকের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাওলানা যোবায়ের আহমাদ চৌধুরী, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা মুনিরুজ্জামান, মাওলানা লোকমান মাযহারী, সা’দবিরোধী তাবলিগের মুরুব্বি মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হাসান, মুফতি যাকারিয়া প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ১ ডিসেম্বর টঙ্গী মাঠে সা’দপন্থীরা নৃশংস হামলা করেছে। এ হামলায় তাবলিগের সাথী ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ প্রায় কয়েকশ’ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।