শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ করবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনা কারামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কাল থেকে সব ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন করবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কমিটির তদন্তের আগেই তাকে গ্রেফতার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। কারণ এখনও প্রমাণ হয়নি যে তিনি দোষী। আমরা তার মুক্তি চাই।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। সেখানে কলেজ শাখার শিক্ষার্থী সুমাইয়া মাহমুদ মিতিকা, লামিয়া ইকবাল ও আদিবা হাসান জানায়, ‘আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে অসন্তুষ্ট। সিসি টিভির ফুটেজে আমরা দেখেছি তিনি (শিক্ষিকা হাসনা হেনা) শুধু অরিত্রীর বাবা-মাকে স্কুলের অধ্যক্ষের কক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। এর বাইরে তিনি আর কিছু করেননি। এজন্য তিনি দোষী হতে পারেন না। একটা ন্যায়ের জন্য আমরা অন্য একটা অন্যায়কে সমর্থন দিতে পারি না। আমাদের ৬ দফা দাবির মধ্যেও তার নাম নেই। তিনি নির্দোষ। আমরা শিক্ষিকা হাসনা হেনার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।