অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সাদেকা হালিম। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন পিডিএফ এর সভাপতি মো. নাজমুস সাকিব।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘একটু সুযোগ পেলে প্রতিবন্ধীরাও শত বঞ্চনা পেরিয়ে নিজেদের তুলে ধরতে পারেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংসদীয় পদ্ধতিতে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির প্রচেষ্টায় পাঁচ জন শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের জন্য আরও ব্যাপক সাড়া পড়েছে।’
অন্যদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তান হৃদয় সরকারকে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা প্রদানকারী হিসেবে বিবিসি’র করা বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় ৮১ তম স্থান পাওয়ায় সীমা সরকারকেও বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করে পিডিএফ। গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাবি’র ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিন ছেলে হৃদয়কে কোলে করে সিঁড়ি ভেঙে পরীক্ষার হলে নিয়ে যান। যা সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। প্রতিবন্ধী কোটায় ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পান হৃদয় সরকার।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজজামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশকে প্রতিবন্ধীবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেও জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প তৈরি, ব্রেইল বই সরবরাহসহ প্রতিবন্ধীবান্ধব ক্লাসরুম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।’
বাংলাদেশের ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘প্রতিবন্ধী শিশুরা স্বর্গের সন্তান। তাদের প্রতি মানবিক আচরণ ও সুবিচার করতে হবে। কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে মুলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
ড. সাদেকা হালিম জানান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব আফিফা-সাদেকা স্মারক বৃত্তি প্রবর্তন করা হবে। খুব দ্রুতই এই স্মারক বৃত্তির কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে।