বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে: শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক


গোলিটেবিল আলোচনায় কথা বলছেন আলোচকরা২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, ‘দেশবাসী তাদের কথা মনে রেখেছে। তাই এবার নির্বাচন হবে ১৯৭০ সালের মতো। বিএনপি-জামায়াত জোট এবং তাদের দোসররা নির্বাচনে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তরুণ প্রজন্ম তাদের পরাজিত এবং দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।’

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাগো বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ: এই বাংলাদেশ তোমাদের নয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশকে অবশ্যই সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদমুক্ত করতে হবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতায় আনতে হবে। তা না হলে দেশ কখনোই যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার-আলবদরমুক্ত হবে না। দেশকে জঞ্জালমুক্ত করতেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে পুনরায় সংসদে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মনমানসিকতায় কখনোই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি আইএসের ‘চর’ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান রাজাকার ছিলেন বলেই শাহ আজিজুর রহমানের মতো লোককে ওই সময় মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে জিন্দাবাদ কায়েম করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার তিন বছর পরই তিনি এসব করেন।”
সাবেক এই বিচারপতি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে কোনও সময়ই রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের স্বাধীন বাংলাদেশের সংসদে বসাতে পারতেন না। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি সেই জামায়াত-জঙ্গিবাদ পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য জোট বেঁধেছে। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে জেতার জন্য। তাদের অবশ্যই ভোটযুদ্ধে পরাজিত করতে হবে। তা না হলে দেশ ফের আইএসের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।’
জার্মানির যুদ্ধাপরাধী নাৎসিদের কথা উল্লেখ করে সাবেক এ বিচারপতি বলেন, ‘তারা সেখানে রাজনীতি করতে পারে না। তাদের সেই অধিকার সংবিধান দেয়নি। কিন্তু জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর বিধিনিষেধ অমান্য করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা করে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিলেন। আর ওই সময়ই যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেমরা বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকার পাহাড় করেছেন। তারা আজ সেই অর্থবিত্ত জঙ্গিদের পেছনে ঢালছেন।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হারুন-অর-রশিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ডা. কামরুল হাসান খান, সাবেক সহকারী আটর্নি জেনারেল ইয়াদিয়া জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক ড. জিনাত হুদা ও জাগো বাংলা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী, কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদ প্রমুখ।