উত্তরপত্রে ঘষামাজা: আবারও তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০১৮ সালের ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রে ঘষামাজার অভিযোগের দ্বিতীয় দফা তদন্তের প্রতিবেদন চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) মহাপরিচালকের কাছে তৃতীয়বার তদন্ত প্রতিবেদন চাইলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এর আগে দুইবার তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে মন্ত্রণালয়।

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রে ঘষামাজা করার প্রমাণ পায় ঢাকা জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। এরপর আবারও কমিটি গঠন করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তদন্ত করার নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। গত ২৮ মে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু আজ অবধি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি কমিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ভর্তি পরীক্ষায় মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার খাতায় ভুল উত্তর রাবার দিয়ে মুছে ফেল করা ছাত্রদের পাস করানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে অধ্যক্ষ ড. শাহান আরার বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকা আয় করার তথ্য উল্লেখ করা হয়। এই অভিযোগের তদন্ত করে ঢাকার জেলা প্রশাসন। তদন্তে উত্তরপত্রে ঘষামাজার অভিযোগের প্রমাণ মেলে।

শ্যামলী সিমু নামের এক অভিভাবকের অভিযোগের পর গত ১৯ এপ্রিল ঢাকা জেলা প্রশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। জেলা প্রশাসন থেকে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পরবর্তী সময়ে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর, ঢাকা) তাসলিমা মোস্তারিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাসলিমা মোস্তারি ঘটনা তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান গত ৮ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরপত্রে ঘষামাজা করে ভুল উত্তর মুছে দিয়ে সঠিক উত্তর লিখে দিয়ে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের পাস করানো হয়। তদন্তে ঘষামাজা ছাড়াও ওভার রাইটিং করার প্রমাণ মেলে।

তবে, ঘষামাজার সঙ্গে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম, সহকারী প্রধান শিক্ষক আ. ছালাম খান, হিসাব সহকারী দীপা, সাব-অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কাম অফিস সহকারী মো. আতিকুর রহমান খান, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. কবির হোসেন ও আতিকুর রহমানের লেখার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি অনুসন্ধানে স্পষ্ট করা সম্ভব হয়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আর অধ্যক্ষের তিন কোটি টাকা আয় করার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে কিছুই বলা হয়নি।