বিশেষ শিশুদের আঁকা ছবি ও অভিনয় দেখে মনটা ভরে গেছে: ফেরদৌসী মজুমদার

বিশেষ শিশুদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন নাট্য ব্যক্তিত্ব ফেরদৌসী মজুমদার

মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও জাতীয় পতাকার রূপকার শিল্পী কামরুল হাসান-এর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় বিশেষ শিশুদের স্কুল বিউটিফুল মাইন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নাট্য ব্যক্তিত্ব ফেরদৌসী মজুমদার।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পী কামরুল হাসানের মেয়ে সুমনা হাসান ও বোন  মমতাজ সুলতানা। এছাড়াও অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী রুমানা রশীদ ঈষিতা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিউটিফুল মাইন্ড এর প্রিন্সিপাল ডা. শামীম মতিন চৌধুরী।

বিশেষ শিশুদের অভিনয়

অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকার রূপকার শিল্পী কামরুল হাসানকে স্মরণ করেন তার বোন এবং বিউটিফুল মাইন্ড স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল মমতাজ সুলতানা। বাংলাদেশের চিত্রকলায় একটি বিশেষ অধ্যায়ের স্রষ্টা কামরুল হাসানের ছবি আঁকা, দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং জাতীয় পতাকা তৈরির প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরেন তিনি।

অনুষ্ঠানে কামরুল হাসানের  চিত্রকর্মের বিশেষ প্রদর্শনী ছাড়াও ছিল  বিশেষ শিশুদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী।  এরপর বিশেষ শিশুরা মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ নাটিকা ও সঙ্গীত পরিবেশন করে। বিশেষ শিশুদের এই পরিবেশনা ও চিত্রাঙ্কন দেখে আপ্লুত হন প্রধান অতিথি।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন নাট্য ব্যক্তিত্ব ফেরদৌসী মজুমদার

পরে  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বিশেষ শিশুদের আঁকা ছবি, তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার দক্ষতা এবং সামজিকীকরণের প্রক্রিয়া দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিষয়বস্তু মাথায় নিয়ে এই বিশেষ শিশুরা যা এঁকেছে তাতে আমি মুগ্ধ। এত চমৎকার এবং বিষয়টা যে তারা বুঝতে পেরেছে এটাও আমাকে মুগ্ধ করেছে।

তিনি বলেন, ‘এখানে বিশেষ শিশুদের কাছে এসে আমার মনটা ভরে গেছে। এই যে বিশেষ শিশুদের নিয়ে কাজ করা এটা এমন একটা মহতী উদ্যোগ, এখানে আমি নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

প্রধান অতিথি ফেরদৌসী মজুমদারকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দিচ্ছেন বিউটিফুল মাইন্ড এর প্রিন্সিপাল ডা. শামীম মতিন চৌধুরী

এই বিশেষ শিশুদের শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের অকুণ্ঠ প্রশংসা করে ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, এই বিশেষ শিশুদের সব কিছু বোঝানো, শেখানো, তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসার কাজটা করছেন আপনারা।  এরা যখন স্বাভাবিক হয়ে একেবারে সমাজের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাবে তখন কিন্তু, আসল মর্যাদাটা আপনাদেরই। বিশেষ শিশুদের স্কুলগুলোর প্রতি সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকার রূপকার কামরুল হাসানকে গভীরভাবে স্মরণ করে  এই দেশে যেন রাজাকারের স্থান না হয় সে প্রত্যাশা করেন এই বিশিষ্ট অভিনেত্রী।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিরা।

এরপর অনুষ্ঠানের অতিথিদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।