হলি আর্টিজানে হামলা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৬ ডিসেম্বর

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান হামলায় মামলায় দুই জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার  (১৭ ডিসেম্বর)  দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান।

সাক্ষ্যদাতারা হলেন, শাওন ও মুন্না দেওয়ান। এ নিয়ে হলি আর্টিজান হামলায় ছয় জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এরআগে, গত ২৬ নভেম্বর আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পলাতক দুই আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ট্রাব্যুনাল।

এরআগে, গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির সিএমএম আদালতের জিআর শাখায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর  ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। ৩০ জুলাই মামলাটির অভিযোগপত্রগ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য এ দিন ধার্য করেন। মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলার নথি পৌঁছায়।

অভিযোগপত্রে আসামি ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানের সময় এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

অভিযোগপত্রের ৮ আসামি হলো, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, এই ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

পলাতক আসামিরা হলেন শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাকি ৬ জন আসামি কারাগারে।

ঘটনাস্থলে মামলার ৫ আসামি নিহত হয়। তারা হলো, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। এছাড়া বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত ৮ আসামি হলো, তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্যও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।