রাজশাহী বিভাগের বেসরকারি কারিগরি শিক্ষকদের সনদ ও নিয়োগ খতিয়ে দেখবে সরকার

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি, জাল সনদে শিক্ষক নিয়োগসহ বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিভাগের এসএসসি-ভোকেশনাল এবং এইচএসসি-বিএম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের বৈধতা ও সনদ ঠিক আছে কিনা, তা যাচাই শুরু করা হয়েছে । সেজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে চারটি কমিটি গঠন করা হয়।

কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) মনজুরুল কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‌‘আমরা শিগগির যাচাই কার্যক্রম শুরু করবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগে কোনও অনিয়ম আছে কিনা, কিংবা কোনও শিক্ষকের সনদ জাল রয়েছে কিনা।’

মনজুরুল কাদের জানান, রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সনদ যাচাই করতে দুটি জেলার জন্য একটি করে কমিটি গঠন করা হয়। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জন্য গঠিত চার সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পিআইডব্লিউ) মো. মিজানুর রহমানকে। পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) মনজুরুল কাদের। বগুড়া ও জয়পুর জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (ভোকেশনাল) মো. অহিদুল ইসলাম। আর নওগাঁ ও নাটোর জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও তাদের সনদ যাচাইয়ের জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পিআইইউ) মো. আককাছ আলী সেখ।

এই চার কমিটিকে রাজশাহী বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরেজমিন ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে যাচাই করে আগামী তিন মাসের মধ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) সংশ্লিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চেকলিস্ট অনুযায়ী যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

রাজশাহী বিভাগে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও চাহিদা যাচাই করার লক্ষেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।