আহমদ শফীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের

জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের মানববন্ধন‘মেয়েদের স্কুল-কলেজে দেবেন না, যদি দেনও ফোর-ফাইভ পর্যন্ত পড়াবেন’ হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফীর এ বক্তব্য সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল বলে দাবি করেছে জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়ন। এই বক্তব্যের জন্য নারী সমাজ ও দেশবাসীর কাছে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা আহমদ শফীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। তার বিরুদ্ধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান তারা।
ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের মানববন্ধন ও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে। ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি আবুল হোসাইন বলেন, ‘পোশাকের কারণে যদি নারীকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়, তাহলে সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কেন? তিন বছরের শিশুকে কেন ধর্ষণ করা হয়। শফীর বক্তব্যের জন্য তার বিচার হওয়া উচিত।’
জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার বলেন, ‘২০১৪ সালে আহমদ শফী কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিল, তখন সারাদেশের নারীরা প্রতিবাদ করেছে। তখন যদি তার বিচার হতো তাহলে আজ এই কথা বলার সাহস থাকতো না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, সংগঠনের সভাপতি আমেনা বেগম, শ্রমিক নেতা ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আইনজীবী জোবায়েদা পারভিন মমতাজ বেগম, সাবিনা চৌধুরী, মিনারা বেগম, সেতারা বেগম, আজিজা পারভীন, বিউটি আক্তার।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে আল-জামিআতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ১১৮তম বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘আপনাদের মেয়েদের স্কুল-কলেজে দেবেন না। যদি দেনও ফোর-ফাইভ পর্যন্ত পড়াবেন। এর বেশি পড়ালেখা করালে আপনার মেয়েকে পর-পুরুষে টানাটানি করে নিয়ে যাবে।’ এ বক্তব্যের পর মেয়েদের স্কুল-কলেজে না দিতে উপস্থিত মুসল্লিদের ওয়াদা করান তিনি। পরে এক বিবৃতিতে আল্লামা শফী বলেন, তার বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন হয়েছে।