মানববন্ধনে নোঙরের সভাপতি সুমন শামস বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকারে ঘিরে আছে চারটি নদ নদী— বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ। এই নৌপথ ঘিরেই ঢাকার বিস্তৃতি। ১৯৭০ সালে দেশের নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। আজ সেই নদীপথের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন হাজার কিলোমিটারে। ক্রমেই নদী সরু হয়ে খালে পরিণত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় নদীগুলো হারিয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
নোঙরের অনুসন্ধানের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নদ-নদী দখল করে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। কামরাঙ্গীরচর ও বসিলায় নদী দখল করে অবকাঠামো গড়ে তোলার হার সবচেয়ে বেশি। এছাড়া আব্দুল্লাহপুর, গাবতলী, ডেমরা, কাচপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় নদী দখল করে ৩৮-৪৮ শতাংশ স্থানে বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। গাছপালা ও কৃষি জমি হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে নন্দীপাড়ার ৭৩ শতাংশ জমি। আর পরিত্যক্ত জমি হিসাবে বেশি অংশ রয়েছে বসিলায় প্রায় ৩০ শতাংশ।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে নদীকে দখল মুক্ত করতে ও বাঁচাতে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে নোঙরের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশ বিষয়ক সংগঠনের একাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।