সেনাবাহিনী দিয়ে নদী দখলমুক্ত করার দাবি

 

নদী দখলমুক্ত করতে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিনদীমাতৃক দেশের নদ-নদী ও খাল দখলমুক্ত করতে দ্রুত সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছে নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’। পাশাপাশি সংগঠনটির পক্ষ থেকে নদীখেকোদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে নোঙরের সভাপতি সুমন শামস বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকারে ঘিরে আছে চারটি নদ নদী— বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ। এই নৌপথ ঘিরেই ঢাকার বিস্তৃতি। ১৯৭০ সালে দেশের নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। আজ সেই নদীপথের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন হাজার কিলোমিটারে। ক্রমেই নদী সরু হয়ে খালে পরিণত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় নদীগুলো হারিয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

নোঙরের অনুসন্ধানের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নদ-নদী দখল করে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। কামরাঙ্গীরচর ও বসিলায় নদী দখল করে অবকাঠামো গড়ে তোলার হার সবচেয়ে বেশি। এছাড়া আব্দুল্লাহপুর, গাবতলী, ডেমরা, কাচপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় নদী দখল করে ৩৮-৪৮ শতাংশ স্থানে বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। গাছপালা ও কৃষি জমি হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে নন্দীপাড়ার ৭৩ শতাংশ জমি। আর পরিত্যক্ত জমি হিসাবে বেশি অংশ রয়েছে বসিলায় প্রায় ৩০ শতাংশ।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে নদীকে দখল মুক্ত করতে ও বাঁচাতে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে নোঙরের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশ বিষয়ক সংগঠনের একাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।