এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী তরিকুল ইসলাম জামিন শুনানিতে বলেন, ‘এ মামলায় আসামির অপরাধ হলো তার একটি রাজনৈতিক পরিচয় আছে। তিনি বিএনপির একজন সক্রিয় সদস্য এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু। এছাড়া আর কোনও অপরাধ নেই। মামলায় যে টাকার অভিযোগ করা হচ্ছে সেই টাকা অপুর এক বন্ধু মাহমুদুল হাসান বিদেশ থেকে পাঠিয়েছেন। তখন তিনি এ টাকা গ্রহণ করেন। এ টাকা উদ্ধার দেখিয়ে অপুকে গ্রেফতার দেখানো হয়। আসামি একজন সমাজসেবক। আদালত তাকে জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না।’
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অপুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নুর উদ্দিন অপুকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। গত ২৪ ডিসেম্বর মতিঝিল সিটি সেন্টারের ২৭ তলার ইউনাইটেড করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করে র্যাব। ওই ঘটনায় মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং মামলা করা হয়। এ মামলায় নূর উদ্দিন অপুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮ কোটি টাকা উদ্ধারের মামলায় বিএনপি নেতা অপু গ্রেফতার