জুলহাস-তনয়ের ‘খুনি’ আসাদুল্লাহর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

আটক আসাদুল্লাহমার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আসাদুল্লাহর (২৫) কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আসাদুল্লাহকে সাথে নিয়ে টঙ্গী এলাকা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে টঙ্গি থেকে তাকে গ্রেফতারের পর বুধবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল তাকে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) তৌহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এসব বিষয় জনিয়েছেন।

সিটিটিসি সূত্র জানায়, জুলহাস ও তনয় হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল আসাদুল্লাহ। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার দাওরা প্রশিক্ষক ছিল সে। সংগঠনে ফখরুল,  ফয়সাল,  জাকির,  সাদিকসহ একাধিক নামে সে পরিচিত। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে তার হেফাজতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দশ রাউন্ড গুলি এবং একটি ম্যাগাজিন আছে জানালে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।

সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬ সালে উত্তর বাড্ডায় পুলিশের ওপর হামলা করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায়ও সে সন্দেহভাজন। আনসারুল্লাহ টিমে যোগদানের আগে যশোরের নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সাথী ছিল সে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগান লেক সার্কাস এলাকার বাসায় ঢুকে জুলহাস ও তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ ঘটনায়  আসাদুল্লাহসহ  এখন পর্যন্ত মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।

জুলহাস ও তনয় হত্যাকাণ্ডের পর সিটিটিসি'র  কর্মকর্তারা জানতে পারেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একটি ‘স্লিপার সেল’ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। যারা ২০১৩ সাল থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ব্লগার, লেখক, প্রকাশক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের টার্গেট করে হত্যা করে আসছিল। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে আগে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে তাদের কার্যক্রম চালাতো। জুলহাস-তনয় হত্যাকাণ্ডের পর আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের শাখা আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) টুইটার বার্তায় এর দায় স্বীকার করে।