স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২০১২-১৩ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন স্থগিত

২০১২-১৩ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়নের দাবিতে অধিদফতরের পাশে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে আন্দোলন শুরু করে দুপুরে তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আন্দোলকারীরা জানান, এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় সেসময় ২ হাজার ৭ জন লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু এখনও বিভিন্ন জটিলতায় তাদের নিয়োগ আটকে আছে। তবে রবিবারে (৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস পাওয়া গেছে বলে আপাতত আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ‘২০১২-২০১৩ সালের স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে ৯ জেলার তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ প্রত্যাশিত কমিটি’র সভাপতি মো. বাইরুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বয় হয়েছে। তাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আগামী রবিবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছি। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অসুস্থ হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি সুস্থ হয়ে কাজে যোগদান করলেই বিষয়টির সুরাহা হবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

চাকরিপ্রত্যাশীরা জানান, ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে ৯ জেলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। জেলাগুলো হলো নওগাঁ, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, বরিশাল, ফরিদপুর, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ। ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা হয়। ওই বছরের ২৪ জুন ফল প্রকাশ হয়। এতে অকৃতকার্য একজন উচ্চ আদালতে রিট করেন। ওই বছরই রিটটি খারিজ করে নিয়োগটি শেষ করার আদেশ দেন আদালত। ২০১৪ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সময় ওই নিয়োগ শেষ না করে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এই পুনঃবিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট (মামলা নং ৪৭৪৭/১৪) করা হলে তা অবৈধ ঘোষণা করে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে নিয়োগ শেষ করার আদেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টর এ রায়ের বিরুদ্ধে ৬৫৪ দিন পর আপিল (মামলা নং ৫৩৯/১৭) করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আপিলটি ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতর রিভিউ আবেদন করেন (মামলা নং ১৮০/১৮)। এই রিভিউও আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ২১ মে খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

এ প্রসঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির চাকরি প্রত্যাশী মো. মুক্তার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এখন অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি। আমরা নিয়োগ চাই। আমরা ডিজি অফিসের বক্তব্য মেনে নিয়েছি। তারা যদি পরবর্তীতে আমাদের বক্তব্য না মানে তাহলে আমরা আবার কঠোরতর আন্দোলনে যাব।’

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক (মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্বে/ভারপ্রাপ্ত) নাসিমা সুলতানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি এখন একটা মিটিংয়ে আছি। এখন কথা বলতে পারব না।’