সিআইডি জানায়, প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রের মাস্টারমাইন্ড রাকিবুল হাসান এসামী। তার সহযোগী খান বাহাদুর, সাইফুল ইসলাম, সজীব ইসলাম, বনি ইসরাইল, আশরাফুল ইসলাম আরিফ ও মারুফ হাসান।
ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াতচক্রের মূলহোতা ছয়জন। তারা হলেন- অলিপ কুমার বিশ্বাস, ইব্রাহিম মোল্যা, হাফিজুর রহমান হাফিজ, মাসুদুর রহমান তাজুল, মোস্তফা কামাল ও আইয়ুব আলী বাঁধন। অলিপের সহযোগীরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, প্রণয় পান্ডে, সৈয়দ শাকিল ও সাইদুর সাঈদ। ইব্রাহিম মোল্যার সহযোগীরা হলেন- মাহবুব মামুন ও জাহাঙ্গীর আলম। হাফিজুর রহমান হাফিজের সহযোগী হলেন রহমান রজিম। মাসুদুর রহমান তাজুলের সহযোগীরা হলেন- অসীম বিশ্বাস, শাশ্বত ঘোষ, নেছার উদ্দিন লিমন ও রিমন হোসেন। মোস্তফা কামালের সহযোগী মাসুদ হাসান। আইযুব আলীর সহযোগীরা হলেন রাসেল আলী ও আবদুল্লাহ রায়হান।
গত কয়েক দিনের চলমান ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াতচক্রের অন্যতম হোতা হাফিজুর রহমান হাফিজ এবং মাসুদ রহমান তাজুলকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪৬ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের মূল উৎপাটন করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এবং ব্যক্তিগতভাবে বাংলা ট্রিবিউনকে এ ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জানান তিনি।
প্রশ্নফাঁসে যেভাবে যারা জড়িত
সিআইডির দাবি, প্রশ্নফাঁস তৎপরতা শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলে অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতচক্রের সঙ্গে জড়িত রানা ও মামুন নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত দুই শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষা হল থেকে গ্রেফতার করা হয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী রাফিকে। এরপর গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সাত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এসব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানা যায়, পরীক্ষার আগেই প্রেস থেকে পাস হয়ে যেত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন। এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড নাটোর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এসামী, প্রেস কর্মচারী খান বাহাদুর, তার আত্মীয় সাইফুল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বনি ও মারুফসহ ২৮ আসামিকে গ্রেফতার করে চক্রটির মূল উৎপাটন করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ এ চক্রটি ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁস করে এবং সাভারের একটি বাসায় আগের রাতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পড়ায়।
দুই পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র জালিয়াতি
ভর্তি কিংবা নিয়োগ পরীক্ষায় মূলত দুইভাবে জালিয়াতি হয়। একটি চক্র আগের রাতে প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। অন্য চক্রটি পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে দ্রুত তার সমাধান করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করে। আগের রাতে প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁসকারী পুরো চক্র চিহ্নিত করা গেলেও ডিভাইস চক্রটি বাকি ছিল।
টানা কয়েকটি সাঁড়াশি অভিযানে নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতচক্রের মাস্টারমাইন্ড বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস, মূলহোতা ৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহিম মোল্যা, বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, আইয়ুব আলী বাঁধনসহ ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম।
বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগে রাজধানীর অগ্রণী স্কুলের শিক্ষক গোলাম মোহাম্মদ বাবুল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) আনোয়ার হোসেন মজুমদার এবং মোহাম্মদ নূরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। একই অভিযোগে ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ স্কুলের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হোসনে আরা বেগম এবং পিয়ন হাসমত আলী শিকদারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গ্রেফতারের সময় হাসমতের কাছে ওইদিনের বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার কয়েকটি প্রশ্নপত্র এবং ৬০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। চক্রটির ৬ জন মূলহোতার মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা গেলেও জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হাফিজুর রহমান হাফিজ এবং ব্যবসায়ী মাসুদ রহমান তাজুল ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। সর্বশেষ কয়েক দিনের অভিযানে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাস্টারমাইন্ডদের সহযোগীচক্র
অলিপ, ইব্রাহিম, মোস্তফা, তাজুল, হাফিজ ও বাঁধন, ডিজিটাল জালিয়াতির এই ছয় মূলহোতার প্রত্যেকের নিজস্ব সহযোগী চক্র ছিল। সর্বশেষ অভিযানে এদের সহযোগী কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অলিপের অন্যতম সহযোগী অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান সাইদ, তাজুলের প্রধান সহযোগী ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী অসীম বিশ্বাস, বেসরকারি গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রিমন হোসেন এবং ঢাকা কলেজের পিয়ন মোশারফ হোসেন মুসা এবং হাফিজুর রহমান হাফিজের ভাই আব্দুর রহমান রমিজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অসীম বিশ্বাস মুম্বাই থেকে পরীক্ষায় জালিয়াতিতে ব্যবহৃত কয়েকশ‘ ইলেকট্রনিক ডিভাইস আমদানি করেছেন।
জালিয়াতদের কোটি টাকার সম্পদ
গ্রেফতারকৃতদের অঢেল অর্থসম্পদের তথ্য পেয়েছে সিআইডির অনুসন্ধানকারী দল। এসব তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতি করে আয় করেছে। অলিপ কুমার বিশ্বাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড। কয়েক বছরে জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি দুই কোটি টাকা আয় করেছেন। ইব্রাহিম, হাফিজ, মোস্তফা, তাজুল ও বাঁধন বিসিএস-সহ সব নিয়োগ পরীক্ষার জালিয়াতির মূলহোতা। প্রাথমিক তদন্তে পাঁচজনের প্রায় ২০ কোটি নগদ অর্থ ও সম্পদের সন্ধান পায় সিআইডি।
এদের মধ্যে ইব্রাহিমের ছিল বিলাসী জীবন। পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৬তম বিসিএস নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। ৩৬ লাখ টাকা দামের গাড়িতে তার চলাচল। জালিয়াতির টাকায় খুলনার মুজগুন্নী এলাকায় সাড়ে ৬ শতাংশ জমির ওপর চারতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। নড়াইলে তৈরি করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি। এছাড়াও মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করতো বলেও সে জানিয়েছে। এছাড়া হাফিজের ব্যাংকে প্রায় ১০ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
গত কয়েক দিনের চলমান অভিযানে ৯ জনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত ৪৬ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সর্বশেষ গ্রেফতার ৯ জন
জালিয়াতচক্রের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে সর্বশেষ অভিযানে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম। তারা হলেন হাফিজুর রহমান হাফিজ, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার; আব্দুর রহমান রমিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী; রিমন হোসেন, গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী; সাইদুর রহমান সাইদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী; মুহাইমিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী; মাসুদ রহমান তাজুল, ব্যবসায়ী; জাহাঙ্গীর আলম, অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার; মোশারফ হোসেন, ঢাকা কলেজের পিয়ন; অসীম বিশ্বাস, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী।
প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসকারীচক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে ছাত্র-শিক্ষক, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে গত ৭ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন:
১. মো. মহিউদ্দিন রানা (২৫), এমএসসি (পদার্থবিদ্যা) বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রাম- নামাছিটপাড়া, থানা- নালিতাবাড়ী, জেলা- শেরপুর।
২. আবদুল্লাহ আল মামুন (২২), ফলিত রসায়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রাম-আমাইকোলা, থানা- সাথিয়া, জেলা- পাবনা।
৩. মোহাম্মদ ইশরাক হোসেন রাফি (১৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী, গ্রাম- তাত্রাকান্দা, ইউনিয়ন-সিধলা, থানা- গৌরীপুর, জেলা- ময়মনসিংহ।
৪. নাভিদ আনজুম তনয় (২৫), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র, গ্রাম-বলজনী, পোস্ট-খরসুতী, ইউপি-ময়না, থানা-বোয়ালমারী, জেলা- ফরিদপুর।
৫. এনামুল হক আকাশ (১৯), উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, গ্রাম- পূবাইল আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পিছনে, পূবাইল, গাজীপুর সদর, গাজীপুর।
৬. নাহিদ ইফতেখার (১৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ -১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম-দাহখোলা, থানা-বাখারপারা, জেলা-যশোর।
৭. রিফাত হোসেন (১৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ -১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম-রানীনগর, থানা-সলঙ্গা, জেলা- সিরাজগঞ্জ।
৮. মো. বায়জিদ (১৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ -১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম- কলেজ রোড, থানা-আমতলী, জেলা-বরগুনা।
৯. ফারদিন আহম্মেদ সাব্বির (১৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ -১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম-আকরান, থানা- সাভার, জেলা-ঢাকা।
১০. তানভির আহম্মেদ মল্লিক (১৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম-চন্দ্রশেখরদী, থানা- দাউদকান্দি, জেলা- কুমিল্লা।
১১. প্রসেনজিত দাস (২০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম-কেশবপুর, থানা- কেশবপুর, জেলা-যশোর।
১২. মো. আজিজুল হাকিম (২০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম- মাস্টারপাড়া, থানা-গাইবান্ধা সদর, জেলা-গাইবান্ধা।
১৩. ফারজাদ ছোবহান নাফি (১৯), ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি’র ছাত্র, গ্রাম-মনোহরদী, থানা-মনোহরদী, জেলা-নরসিংদী।
১৪. আনিন চৌধুরী (২১), বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, গ্রাম-মুকুন্দপুর, থানা-বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
১৫. টি এম তানভির হাসনাইন (১৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম- সিরাজগঞ্জ, থানা ও জেলা-সিরাজগঞ্জ।
১৬. সুজাউর রহমান সাম্য (১৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম- গোলাবাড়ীয়া, থানা-মুকসেদপুর, জেলা- গোপালগঞ্জ।
১৭. রাফসান করিম (১৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম- হোসেনপুর, থানা ও জেলা- সিরাজগঞ্জ।
১৮. মো. আখিনুর রহমান অনিক (১৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম- নতুন ভাঙ্গাবাড়ী, থানা ও জেলা- সিরাজগঞ্জ।
১৯. নাজমুল হাসান নাঈম (১৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত হয়ে ভর্তি, গ্রাম-মাহমুদপুর, থানা ও জেলা-সিরাজগঞ্জ।
২০. বনি ইসরাইল (২৩), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। গ্রাম- আন্দুলীয়া, থানা- চৌগাছা জেলা- যশোর।
২১. মো. মারুফ হোসেন (২৪), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, গ্রাম-চরমল্লিকপুর, থানা- লোহাগড়া, জেলা- নড়াইল।
২২. রকিবুল হাসান ইসামী (২৮), নাটোর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব, পাবনা জেলা), গ্রাম- ছাইকোলা পূর্বপাড়া, থানা- চাটমোহর, জেলা- পাবনা।
২৩. কাজী মিনহাজুল ইসলাম (২১), পিতা- কাজী হিরাংঙ্গীর ইসলাম, গ্রাম-চরমল্লিকপুর, পোস্ট-কুন্দশী, থানা- লোহাগড়া, জেলা- নড়াইল।
২৪. শিহাব হোসেন খান (১৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত, গ্রাম- সংগীতা (আরিরবাড়ী), ইউনিয়ন-চিনিশপুর, থানা-নরসিংদী সদর, জেলা-নরসিংদী।
২৫. সালমান এফ রহমান হৃদয় (২১), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটের প্রশ্নপ্রাপ্ত, গ্রাম-পাইস্কা, ইউপি- গৌড়দ্বার, উপজেলা-নকলা, জেলা- শেরপুর।
২৬. সাইফুল ইসলাম (২৬), পিপলস প্রিন্টার লি. ঢাকায় কর্মচারী, গ্রাম-চরনগর, পোস্ট-বালিঝুরি, ওয়ার্ড নং- ৭, ইউপি ১নং চরপাকেরদহ, থানা- মাদারগঞ্জ, জেলা- জামালপুর।
২৭. খান বাহাদুর (২৮), পিপলস প্রিন্টার লি., ঢাকা-এর কর্মচারী, পোস্ট-সগুনা, ইউপি-৭নং ঘোষেরপাড়া , থানা- মেলান্দহ, জেলা-জামালপুর।
২৮. সজীব আহাম্মেদ (২১), আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহের ছাত্র, গ্রাম- তেঘরিয়া, ইউপি-১নং চরপাকেরদহ, ওয়ার্ড-৩, থানা-মাদারগঞ্জ, জেলা-জামালপুর।
২৯. অলিপ কুমার বিশ্বাস (৩৩), বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর সহকারী পরিচালক, গ্রাম-পুষ আমলা, সমাধীনগর ৭৮৫১, জঙ্গল বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী।
৩০. মো. মোস্তফা কামাল (২৮), বিএডিসি কর্মকর্তা, গ্রাম-দক্ষিণ কালিকাপুর, ডাকঘর-শলিবাজার, থানা-সলংগা, জেলা-সিরাজগঞ্জ।
৩১. মো. আইয়ুব আলী বাঁধন (২৫), পিতা- মো. আনছার আলী, গ্রাম- ভেলারায়, পোস্ট-ধর্মপুর, থানা-সুন্দরগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধ।
৩২. মো. ইব্রাহিম (২৮), পিতা- মো. আইয়ুব আলী মোল্লা, গ্রাম-রাস্তা-৯৯৯, জালালাবাদ, ডাক-বড়ফা, থানা- গোপালগঞ্জ সদর, জেলা- গোপালগঞ্জ।
৩৩. মো. আনোয়ার হোসেন (৪২), পিয়ন, অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আজিমপুর, ঢাকা, গ্রাম- সিদলা, পোস্ট- বলাখাল, থানা-হাজীগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর।
৩৪. মো. নুরুল ইসলাম (৪৭), পিয়ন, অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আজিমপুর, ঢাকা, গ্রাম-মধ্যপাড়া, পোস্ট- মধ্যপাড়া, থানা-সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সীগঞ্জ।
৩৫. গোলাম মো. বাবুল (৪৭), ইংরেজি শিক্ষক, অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আজিমপুর, ঢাকা, গ্রাম-বাড়াদী, পোস্ট-বহরপুর, ইউপি-ইসলামপুর, থানা-বালিয়াকান্দি, জেলা-রাজবাড়ী।
৩৬. মো. হাসমত আলী সিকদার (৫৪), পিয়ন, ধানমন্ডি গভ. বয়েজ হাইস্কুল, ঢাকা, গ্রাম-পাইককান্দি, পোস্ট-পাইককান্দি, থানা ও জেলা গোপালগঞ্জ।
৩৭. হোসনে আরা বেগম (৫৪), ধানমন্ডি গভ. বয়েজ হাইস্কুলের শিক্ষিকা, গ্রাম-মহিউদ্দিন নগর, পো. সুলতানপুর, থানা+জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩৮. মো. হাফিজুর রহমান (৩৫), জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, গ্রাম-জামাদারপড়া, লক্ষীপুর গুড়িপড়া ৫নং ওয়ার্ড অংশ, ডাকঘর- বারঘরিয়া, থানা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
৩৯. আব্দুর রহমান ওরফে রমিজ (২০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, গ্রাম-জামাদারপড়া, লক্ষীপুর গুড়িপড়া ৫নং ওয়ার্ড অংশ, ডাকঘর- বারঘরিয়া, থানা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
৪০. মোহায়মেনুল ইসলাম (২৭), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, পিতা- এম এ কে শামসুদ্দীন, গ্রাম-মালতীনগর দক্ষিণপাড়া, থানা-বগুড়া, জেলা-বগুড়া।
৪১. সাইদুর রহমান (২২) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, গ্রাম-বালয়াটেক, সোনাকান্দা, ইউপি- রোহিতপুর, থানা- কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা।
৪২. মো. রিমন হোসেন (২৪), পিতা-নুর ইসলাম, মাতা-রনজিদা খাতুন, গ্রাম-শ্রীউলা, থানা-আশাশু।
৪৩. মো. মাসুদ রহমান ওরফে তাজুল (৩৬), গ্রাম-খানপুরা, থানা-আমিনপুর, জেলা-পাবনা।
৪৪. মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৪), অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার, গ্রাম- এলুয়াড়ী, থানা-ফুলবাড়ী, জেলা-দিনাজপুর, বর্তমান ৩১/কাজী গার্ডেন, রসুলবাগ, আজিমপুর, ঢাকা।
৪৫. মোশারফ ওরফে মোসা (৩৬), পিয়ন, ঢাকা কলেজ, ঢাকা, গ্রাম-গুয়াবাড়ীয়া, থানা-হিজলা, জেলা-বরিশাল, বর্তমানে পিয়ন, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
৪৬. অসিম বিশ্বাস (৩০), ঢাকা কলেজের ছাত্র, পিতা- অভিমুন্য বিশ্বাস, গ্রাম-চরশ্রীপুর, থানা-শ্রীপুর, জেলা-মাগুরা।