অবসরে গিয়েও সরকারি গাড়ি হাঁকান সিবিএ নেতা





২২২২বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। অবসরে গেছেন দুই বছর আগে। এরপরও সরকারি গাড়ি, চালক আর জ্বালানির সুবিধা নিতে দ্বিধা করেননি। ১০ বছর ধরে সরকারি পাজেরো গাড়ি হাঁকানো সাবেক সরকারি এই কর্মচারীর আরেক পরিচয় তিনি সিবিএ নেতা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি আলাউদ্দীন মিয়া।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম তার ব্যবহৃত পাজেরো গাড়িটি জব্দ করেছে। দুদকের সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদকের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি উদ্ধারের সময় চালক ছাড়া কেউ ছিলেন না। চালকের বক্তব্য রেকর্ড করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘গাড়িটি পিডিবির নামে বরাদ্দ থাকলেও ওই কর্মচারী (আলাউদ্দীন মিয়া) কোনোভাবেই ব্যবহার করতে পারেন না। তিনি ২০১৭ সালে অবসরে গেছেন। তিনি তখন পিডিবির নকশা ও পরিদর্শন পরিদফতরের স্টেনো টাইপিস্ট পদে ছিলেন। গত আগস্টে তার অবসরোত্তর ছুটিও (পিআরএল) শেষ হয়েছে।’
আলাউদ্দীন মিয়া ২০০৯ সাল থেকে গাড়িটি ব্যবহার করছিলেন জানিয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, ‘গাড়িটির পেছনে প্রতি মাসে ৪৫০ লিটার তেল ব্যবহার হয়েছে। নয় বছরে তেল বাবদ ৩৫ লাখ টাকার বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে। গাড়ির চালকের বেতন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা।’
দুদক মহাপরিচালক বলেন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর নামে গাড়িটি কীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হলো, এর সঙ্গে পিডিবি বা অন্য কোনও অফিসের যারাই জড়িত থাকুক না কেন, অনুসন্ধানের মাধ্যমে তা বেরিয়ে আসবে। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ পেলে সরকারে পরিবহন-পুলের এমন অপব্যবহার হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।’