মিম-সজীব নিহতের ঘটনায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৮ মার্চ





নিহত দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম সজীবরাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম সজীবের নিহতের ঘটনায় দায়ের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা রিয়াদ আহমেদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। এ নিয়ে এ মামলায় ৩৬ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হলো।





সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরবর্তী দিন ধার্য করেন আগামী ১৮ মার্চ। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল এসব কথা জানান।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি আদালতে কোনও সাক্ষী হাজির না হওয়ায় বিচারক ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম সজীব নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন জাবালে নূর পরিবহনের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, হেলপার মো. এনায়েত হোসেন, চালক মো. জোবায়ের সুমন, অপর বাসমালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. আসাদ কাজী। এদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. আসাদ কাজী পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
গত ২৫ অক্টোবর এই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম এ মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এ ছাড়া ছয় ধরনের আলামত জব্দ দেখানো হয়, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি বাস এবং তিনটি ড্রাইভিং লাইসেন্স।
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে কুর্মিটোলা জেলারেল হাসপাতালের কাছে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে জাবালে নূরেরর আরেকটি দ্রুতগতির বাস ওভারটেক করে সামনে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। এতে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিম ও সজীব। আহত হন বেশ কয়েকজন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে নামে শিক্ষার্থীরা।