দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষা’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে শুরু হয় সাপ্তাহিক এই আয়োজন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে দুটি প্রতিষ্ঠান ছিল। একটি কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড, তাদের দায়িত্ব ছিল শিক্ষার উচ্চতর পর্যায়ের জন্য পাঠ্যপুস্তক রচনা। আর ছিল বাংলা একাডেমি। কেন এই দুটিকে এক করা হলো? আজকে বাংলায় অনুবাদ করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের ঘর ঠিক করতে না পারি, আমাদের নিজেদের ভাষা নিয়ে, সাহিত্য নিয়ে, সংস্কৃতি নিয়ে যদি আমাদের গৌরব করার কিছু না থাকে, তাহলে বিশ্বের দরবারে আমরা কী দেবো? সেজন্য আমার প্রস্তাব, সরকারের উচিত অবিলম্বে একটি ভাষা কমিশন গঠন করা। এই ভাষা কমিশন দেখবে যে, বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে কতদূর পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। আমাদের জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের সরকারি অফিস-আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহার হচ্ছে। সে ভুল হোক, শুদ্ধ হোক, যা হওয়ার হচ্ছে। আমাদের নিম্ন আদালতে বাংলা ভাষার ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের এতগুলো শিক্ষার মাধ্যম, তার মধ্যে বাংলা সংখ্যাগরিষ্ঠ। কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে ছিল, বাংলা হবে একমাত্র শিক্ষার মাধ্যম। প্রয়োজন অনুসারে বিদেশি ভাষা শিখতে হবে। কিন্তু কোথায় গেল সেই কমিশনের রিপোর্ট?’
মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নিচ্ছেন– ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও সলিমুল্লাহ খান, লেখক ও গবেষক অদিতি ফাল্গুনী, অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাযহারুল ইসলাম এবং বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।
রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা গেছে এ আয়োজন। বৈঠকির সহযোগিতায় রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।