দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘বিশ্বদরবারে বাংলা ভাষা’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে শুরু হয় সাপ্তাহিক এই আয়োজন।
এ সময় সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘যখন খেলাধুলাতেও ওই সব দেশ (ল্যাটিন আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো) ভালো করে, তখন খেলাধুলার সূত্রে তাদের সুনাম বাড়ে। আগামীতে বাংলাদেশের খেলাধুলাও যদি অনেক উন্নত হয়, তখন বাংলাদেশ সম্পর্কেও অনেক উৎসাহ সৃষ্টি হবে।’
তিনি বলেন, ‘হয়তো আরও পাঁচ বছর পর এই কথাগুলো আমি আরও শক্তি নিয়ে বলতে পারবো যদি আমাদের অর্থনীতি একটি অবস্থানে পৌঁছে যায়, পৃথিবী আমাদের গণ্য করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নত হিসেবে। যেমন– আমরা এখন দুর্নীতির তলানিতে আছি; যদি দুর্নীতির সূচকে আমরা উন্নতি করি, নারীদের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অনেক সুনাম কুড়িয়েছে। যদি এভাবে আমাদের সক্ষমতাগুলো স্থানান্তর করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের একটা মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের শান্তিরক্ষা বাহিনীর কারণে সেনেগালে বাংলা ভাষার একটি মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আন্তঃসম্পর্কগুলো অনেক বিস্তৃত করতে হবে। আমাদের কর্মকাণ্ডগুলো আরও বিস্তৃত করতে হবে। আমাদের সাহিত্যের অঞ্চলটিকে অনেক শক্তিশালী করতে হবে। বাংলা একাডেমি যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তার একটি ছিল, তর্জমার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে দেওয়া। সেই কাজটি আমরা হাতে নিতে পারিনি। সেই কাজটি যদি করতে পারি, তাহলে আমি মনে করি বাংলা সাহিত্য দিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।’
মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় এ বৈঠকিতে আরও অংশ নিচ্ছেন– জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, লেখক ও গবেষক অদিতি ফাল্গুনী, অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাযহারুল ইসলাম এবং বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।
রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা গেছে এ আয়োজন। বৈঠকির সহযোগিতায় রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।