হলি আর্টিজান হামলা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৯ ফেব্রুয়ারি





হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁরাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল ইসলাম অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকায় তার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (আদালতে হাজিরা পরোয়ানা) জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।
এদিন কারাগারে থাকা আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যান অসুস্থ থাকায় উন্নত চিকিৎসার আবেদন করেন তার আইনজীবী ফারুক আহমেদ। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন।
মামালটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।
এ পর্যন্ত মামলাটির ২০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন ট্রাইবুনাল।
গত বছরের ২৩ জুলাই পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়। এ হামলায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও পাঁচজন হামলার দিন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ছাড়া পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয় আটজন। বাকি জীবিত আটজনের মধ্যে ছয়জন কারাগারে আছে।
তারা হলো রাকিবুল হাসান রিগ্যান, রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা।
পলাতক দুই আসামি হলো শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালায়। অস্ত্রের মুখে তারা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ওই রাতেই অভিযানের সময় পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা অভিযানে (‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’) পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।