অনুবাদকের অভাবে বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরা যাচ্ছে না: মাযহারুল ইসলাম

মাযহারুল ইসলামপ্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাযহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলা সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদ নিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায়  অংশ নিচ্ছি আমরা। কিন্তু সেখানে আমাদের সাহিত্যকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারছি না। কারণ অনুবাদগুলো মানসম্পন্ন না। এর মধ্যেও আশার কথা, গত তিন-চার বছরে আমরা তিন-চারটি বইয়ের কপিরাইট বিক্রি করেছি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা পারছি না।’
দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষা’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে শুরু হয় সাপ্তাহিক এই আয়োজন।

তিনি আরও বলেন,  ‘যেকোনও ভাষাকে শক্তিশালী করতে হলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে, সেই ভাষায় রচিত সাহিত্যকর্ম। সলিমুল্লাহ খান বলছিলেন, পৃথিবী জানে না আমরা কী সাহিত্য রচনা করছি। আমরা গত পাঁচ বছর যাবৎ ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় অংশ নিচ্ছি। এটি করতে আমাদের স্বাধীনতার পর প্রায় ৪৩ বছর সময় লেগেছে। ৪৩ বছর ধরে আমরা সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বইমেলা, যেখানে একটি বইয়ের কপিরাইট সেল হচ্ছে সারা পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন ভাষায়। আগামী এক বছরে কোথায় কোন বই ছাপানো হবে, সেটা ওই মেলায় পাঁচ দিনে নির্ধারিত হচ্ছে। সেখানে আমাদের যাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। যাই হোক, আমরা সেখানে আমাদের ভাষাকে উপস্থাপন করতে পারছি না। আমাদেরকে অন্য ভাষার আশ্রয় নিতে হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের আশ্রয় নেওয়ার ভাষা একটি, সেটি হলো ইংরেজি।’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নিচ্ছেন– জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও সলিমুল্লাহ খান, লেখক ও গবেষক অদিতি ফাল্গুনী এবং বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।

রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা গেছে এ আয়োজন। বৈঠকির সহযোগিতায় রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।