পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, পুলিশসহ আহত ৫০

 

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছেপঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় শহরের আহমদনগর এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে চালানো এই হামলায় পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পঞ্চগড় শহর ও আহমদনগর এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের পূর্ব ঘোষিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান বার্ষিক সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার রাতে পঞ্চগড় শহরে মিছিল শুরু করে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদ, ঈমান আকিদা রক্ষা কমিটিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। মিছিল শেষে তারা পঞ্চগড় শহরের শেরেবাংলা পার্ক মোড় সংলগ্ন পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় আহমদিয়া সম্প্রদায় বিরোধীরা আহমদনগর এলাকায় যেতে চাইলে পুলিশ করতোয়া ব্রীজের ওপর তাদের পথরোধ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে পুলিশ ও মুসল্লিদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।

পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যেই আহমদিয়া সম্প্রদায় বিরোধীদের একটি অংশ আহমদনগর এলাকায় প্রবেশ করে বাড়িঘর দোকান পাটে হামলা চালায়। সেখানে তারা ১০/১২টি বাড়িঘর দোকানপাটে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় তাদের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।

আহমদনগর মুসলিম জামাতের প্রেসিডেন্ট তাহের যুগল দাবি করেন তাদের ৪০ জনের মত লোক আহত হয়েছে। মেয়েদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে।

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. প্রদীপ কুমার বণিক জানান, বিভিন্নভাবে আহত হয়ে ২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মনে হয়েছে।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘মুসল্লিদের বিচ্ছিন্ন একটি গ্রুপ এই হামলা করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি কারা কারা এর সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’।