‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে’

জাতিসংঘ সামাজিক উন্নয়ন কমিশনের অধিবেশনে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনজাতিসংঘ সামাজিক উন্নয়ন কমিশনের ৫৭তম অধিবেশনে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘মানবিক উন্নয়ন সূচকে টেকসই ক্রমোন্নতিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে একটি একীভূত, ন্যায়সঙ্গত ও পক্ষপাতমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সরকারের পদক্ষেপসমূহের অন্যতম হলো, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা সহজলভ্য এবং সকলের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।’ শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় পাওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘সরকারের নীতি হচ্ছে সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা অর্জন, নারী ও যুবকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান যাতে তারা দেশের মূল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে পারে, বয়স্ক, বিধবা ও নির্ভরশীল পিতামাতাদের সম-পরিচর্যা সুবিধা প্রদান, জাতীয়ভাবে পরিবারকেন্দ্রিক নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন, জ্ঞান ও কর্মদক্ষতাকে রূপকল্প-২০২১ এর মূল চালিকাশক্তি নির্ধারণ, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে সকলের, বিশেষ করে নারীদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত, নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত এবং সবক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা আনতে নারী ও পুরুষের কাজে সমমর্যাদা ও সমমজুরি নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, ‘আয়-প্রবৃদ্ধি সমুন্নত রাখতে আমরা সম্প্রতি তৈরি পোশাক খাতের সর্বনিম্ন মজুরি পরপর দু’বার রিভিউ করেছি। এ খাত দেশের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত যেখানে ৮০ শতাংশ নারী কাজ করেন যার সংখ্যা প্রায় ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন। জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীরা কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স অনুযায়ী, বাংলাদেশ তার লিঙ্গ বৈষম্যের ৭২ শতাংশ হ্রাস করেছে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতিসংঘ সামাজিক উন্নয়ন কমিশনের সদস্য। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ কমিশনের ৫৭তম অধিবেশন শুরু হয়েছে যা আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সূত্র: বাসস