হাইকোর্ট থেকে নথি গায়েবের ঘটনায় বিচারপতিদের অসন্তোষ

হাইকোর্ট

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ফিরে পেতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীনের করা আপিলের নথি আদালত থেকে গায়েবের ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিট শাখার দুই কর্মকর্তাকে ডেকে ফাইল খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিলটির শুনানিকালে এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

আদালতে ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী।

পরে আইনজীবী মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আগামী ১০ মার্চ এ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন শাহীন। কিন্তু আবেদনপত্রে ভোটারদের স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন তিনি। সেখানেও তার আপিল বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম। পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন শাহীন।

তবে মামলার নম্বর ভুল হওয়ায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির শুনানি হয়নি। এরপর আজ মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় উঠে আসে। কিন্তু শুনানির সময় মামলার ফাইল উপস্থাপন করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত। আদালত এ সময় সেকশন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও রাশেদকে ডেকে এনে মামলার ফাইল উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশ দেন। তখন আদালত বলেন,  রিমান্ডে নিলে ফাইল ঠিকই বের হবে। কিন্তু, আজ মঙ্গলবার বিকাল চারটার মধ্যেও  ফাইলটি আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি রিট শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরে আদালত আগামীকাল বুধবারের মধ্যে মামলার ফাইল আদালতে উপস্থাপন করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।