কীভাবে অস্ত্র নিয়ে বিমানে উঠলো ‘ছিনতাইকারী’ মাহাদি?





24-02-19-Biman Bangladesh_Ctg Air Port-1দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে উড়োহাজাজে উঠতে হয় যাত্রীদের। শুধু যাত্রীর শরীর নয়, তাদের ব্যাগও তল্লাশি করা হয় একাধিকবার। এরপরও কীভাবে এতগুলো নিরাপত্তার ধাপ পেরিয়ে বিমানে উঠলো ছিনতাইকারী, এ প্রশ্ন উঠেছে। তবে এর উত্তর দিতে পারেনি দেশের বিমানবন্দরগুলোর পরিচালনাকারী সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ঘটনায় দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়বে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ অথবা আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রবেশমুখেই যাত্রীদের দেহ তল্লাশি করেন বেবিচকের নিরাপত্তাকর্মীরা। একই সঙ্গে স্ক্রিনিং মেশিনে যাত্রীর সঙ্গে থাকা ব্যাগগুলোও তল্লাশি করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের বোডিং পাস ইস্যু করার পর যাত্রীর ব্যাগ ফের তল্লাশি করা হয়। এরপর বিমানে ওঠার আগে ফের যাত্রীর দেহ তল্লাশি করা হয়। দুই ধাপে তল্লাশির পর যাত্রীদের উঠানো হয় বিমানে। এ অবস্থায় কোনও যাত্রী বিমানে বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র এমনকি নেইলকাটার বা কাচিও সঙ্গে নিতে পারেন না।
কীভাবে ঢাকায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে অস্ত্রসহ বিমান উঠলো ছিনতাইকারী মাহাদি, এমন প্রশ্নের জবাবে বেবিচকের চেয়ারম্যান এম নাঈম হাসান বলেন, ‘দেশের বিমানব্ন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের নিয়ম মেনেই পরিচালনা করা হয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে অস্ত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব না, তারপরও কীভাবে গেলো, সেটি তদন্ত করার বিষয়। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে দেখবো আসলে কীভাবে গেলো। কারও গাফলিতি ছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।’ এ ঘটনার তদন্তে কমিটি করা হবে বলে জানান বেবিচক চেয়ারম্যান।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বোঝা যাবে। হুট করেই কোনও সিদ্ধান্তে আসা কঠিন। সে আসল কোনও অস্ত্র নাকি খেলনা পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়েছে? অনেক সময় খেলনা জাতীয় অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানোর ঘটনা ঘটে। যদি আসল অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে থাকে তবে সেটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তার ব্যবস্থার ঘাটতি।’