তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ নয় বছর পর নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন। অনেকের চাকরির বয়স আছে মাত্র তিন থেকে পাঁচ বছর। তাই এতো বছর পর কোনোভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আংশিক সমাধান করতে দেওয়া সমীচীন হবে না। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কিছু প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ অসুস্থ প্রতিযোগিতা বলে আমরা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ প্রতিযোগিতায় (কিছু প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত) টিকতে না পেরে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। যে কারণে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির একটি সামগ্রিক ও স্বচ্ছ সমাধান প্রত্যাশা করছি। সে ক্ষেত্রে বর্তমান বাজেটে অর্থ বরাদ্দ যথেষ্ট না থাকলে আমরা কম বেতন নিতে রাজি আছি। পর্যায়ক্রমে কয়েক বছরে বেতন দেওয়া হলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত এবং একযোগে সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজ সম্পন্ন করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি শিক্ষামন্ত্রীকে। কিন্তু নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে কোনও অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেছেন, দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধাপে ধাপে এমপিওভুক্ত করা হবে। এটা নন-এমপিও শিক্ষকদের জন্য দুঃসংবাদ। আমরা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।