ডাকসুর ট্রেনে এখন সবাই

Dakshu

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে এখন সব সংগঠনের উপস্থিতি জমজমাট। সবাই ডাকসুর ট্রেনে উঠেছে। এতদিন অনেক ছাত্রসংগঠন সহাবস্থানের দাবি করেছে। ডাকসু নির্বাচনের জন্য এখন সেই সহাবস্থান বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সহাবস্থান নিশ্চিত হয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসন। এতদিন ছাত্রদল দ্বিধায় ছিল। ক্যাম্পাসে আসবে কি আসবে না। ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও তারা শঙ্কায় ছিল। অংশগ্রহণ করবে কি করবে না তা নিয়ে। এখন নিয়মিত ক্যাম্পাসে আসছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মধুর ক্যান্টিনে বসে রাজনৈতিক আলাপও করছেন। ডাকসু নির্বাচনে নিজেদের প্যানেল ঘোষণা করছে তারা।
এদিকে ছাত্রলীগও সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্যানেল ঘোষণা করেছে। ছাত্রলীগের সাবেকদের একাংশ পদবঞ্চিত হওয়ায় তারা আলাদাভাবে বিদ্রোহী প্যানেল ঘোষণা করে। পরে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এখন বিদ্রোহী গ্রুপ একত্রিত হওয়ায় ছাত্রলীগের মধ্যেও স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে।
এছাড়া নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে রাখার দাবিতে শুরু থেকেই আন্দোলন করে আসছিল বামপন্থী সংগঠন প্রগতিশীল ছাত্রজোট। গত সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তারাও প্যানেল ঘোষণা করেছে। এ কয়েকটি প্যানেল ছাড়াও আরও কয়েকটি স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষিত হয়েছে। তার মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন, স্বতন্ত্র জোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন স্বতন্ত্র প্যানেল ঘোষণা করেছে।
নির্বাচনের কার্যক্রম কেমন চলছে জানতে চাইলে ছাত্রদল মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আনিসুর রহমান অনিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা এখনও শুরু হয়নি। তবে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীরাও অনেক দিন পর আমাদের পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করছে।’
প্রগতিশীল ছাত্রজোট থেকে এজিএস প্রার্থী সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনি কার্যক্রম আমরা বাধাহীনভাবে চালাতে পারছি। এখন পর্যন্ত আমরা কারও দ্বারা বাধার সম্মুখীন হইনি।’
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ডাকসুর ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।’
নির্বাচনি পরিবেশের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ সহাবস্থান নেই শব্দটি এখন ইতিহাস। সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’ এখন যে আমেজ বিরাজ করছে তা অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।’