রাজধানীর সড়ক ফাঁকা

খিলগাঁওয়ে সড়কে নেই গণপরিবহনঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন ও দুই সিটির (উত্তর ও দক্ষিণ) সম্প্রসারিত অংশে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন থাকায় আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ কারণে সকাল থেকে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। দুই-একটি বাস দেখা গেলেও তা ছিল খুবই নগণ্য। কোথাও-কোথাও সড়কের কিছু অংশ বন্ধ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করতেও দেখা গেছে।
সকালে নগরীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মৌচাক, রামপুরা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, মগবাজার, কাকরাইল, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, কাওরান বাজার ও ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খুবই কম গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। দীর্ঘ সময় পর ‍দুই একটি পরিবহন দেখা গেলেও তাতে যাত্রী সংখ্যাও ছিল কম।
গণপরিবহন নেই সড়কেসকালে রামপুরা ব্রিজে গিয়ে দেখা গেছে, অন্যদিনের মতো এ এলাকায় ভিড় নেই। নেই পরিবহনের চাপও। পুরো রাস্তা ফাঁকা। কিছু সময় পরপর দুই-একটি পরিবহন দেখা যায়। প্রতিটি বাস স্টপেজে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে সুপ্রভাত পরিবহনের চালক মামুন উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে বলা হয়েছে, কোনও পরিবহন চলবে না। আবার শুনেছি প্রধান প্রধান সড়কে গাড়ি চলবে। সে কারণে অনেকেই বাস নামায়নি। তাছাড়া সরকারি ছুটি থাকায় রাস্তায় যাত্রীও নেই। এর মাঝে কোনও কোনও মালিক দুই-একটি করে বাস নামিয়েছেন। কেউ বাধাও দিচ্ছে না। যাত্রীও কম-বেশি রয়েছে। নাসির উদ্দিন নামে একজন যাত্রী বলেন, সকাল ১০ টায় আব্দুল্লাহপুর থেকে বাসে উঠেছি। সাড়ে ১০টার মধ্যে মালিবাগ চলে এসেছি। রাস্তা একেবারেই ফাঁকা। কোনও যানজট নেই।
নগরীর হাতিরঝিলের মধুবাগ এলাকায় দেখা গেছে, রাস্তার একপাশ বন্ধ করে কিছু শিক্ষার্থী ক্রিকেট খেলছে। তারা জানিয়েছে, প্রতিদিন রাস্তায় ব্যাপক যানজট থাকে। কোথাও খেলাধুলা করার মতো জায়গা নেই। আজ যানবাহন না থাকায় রাস্তা ফাঁকা পেয়ে তারা খেলাধুলা করছে।
হাতিরঝিলে সড়কে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাখিলগাঁও বাস স্টপেজে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রী ছাউনিতে কোনও যাত্রী নেই। কিছুক্ষণ পর ইব্রাহীম মিয়া নামে একজন যাত্রী আসেন। তিনি উত্তরা যেতে লাব্বাইক পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, রাস্তায় উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক পরিবহন দেখছি না। চিন্তায় ছিলাম বাস থাকে কিনা। কিন্তু দুই-একটি পরিবহন দেখতে পাচ্ছি। রাস্তাও ফাঁকা। আশা করি, দ্রুত গন্তব্যে চলে যেতে পারবো।
এদিকে ছুটির আমেজ বিরাজ করছে দক্ষিণ সিটির নির্বাচন না হওয়া ওয়ার্ডগুলোতেও। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই এলাকাগুলোতে পরিবহন চলাচলে কোনও বাধা না থাকার কথা জানানো হয়। কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন সংলগ্ন মোডে গিয়ে দেখা গেছে, গণপরিবহন নেই। এ অবস্থায় নগরীর ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও দেখা যায়নি।
জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকার বলেন, ‘মানুষের প্রয়োজনে মালিকরা যে যার মতো করে দুই একটি করে পরিবহন নামিয়েছেন। এ কারণে কিছু কিছু এলাকায় স্বল্প সংখ্যক পরিবহন চলছে। এটা খুবই নগণ্য। তবে আমাদের পক্ষ থেকে পরিবহন নামানো বা না নামানোর বিষয়ে কঠোরভাবে কোনও নির্দেশনা ছিল না।’

আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতি কম থাকার দায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের: সিইসি