পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবি




কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনপাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ (এএসইবি)। বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২টায় ফার্মগেটে এএসইবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহবায়ক এমাদুল হক বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিকার হিসেবে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন কোচিং সেন্টারগুলো প্রথমবারের মতো সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই এসএসসি পরীক্ষাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁস সবচেয় বেশি হয়েছে। তাই ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা পরিচালিত ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সঙ্গে প্রশ্নফাঁস হওয়া বা না হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।

ইমাদুল বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসের অপরাধে ১৯০ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোচিং সেন্টারের কেউ জড়িত ছিল না। তবে ধারণা করা হয় গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে চারজন ব্যক্তি আগে খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। এসব তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে কোচিং সেন্টারগুলো প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যুক্ত নেই। তাই আমরা পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ না রাখার দাবি জানাই।

একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় কোচিং সেন্টারগুলোকে পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, কোচিং সেন্টার পরিচালনায় একটি নীতিমালা হলে সবাই শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে। বিচ্ছিন্নভাবে আর কেউ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নামে অনিয়ম করতে পারবে না। কোচিং সেন্টারগুলো পাবলিক পরীক্ষার জন্য বন্ধ রাখা হলে মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও দুর্বল শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়, অন্যদিকে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকার কারণেও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তারা।

পরীক্ষার চলাকালীন সময় কোচিং সেন্টারগুলো খোলা থাকলে শিক্ষা বৈষম্য কমে যাবে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার গতি অব্যাহত থাকবে ও অভিভাবকরাও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবেন বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংগঠনের যুগ্ন আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান সোহাগ বলেন, ‘প্রত্যেকটি সেবারই আলাদা মূল্য আছে। সেবার মান অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করা হয়। আমরা সেবা অনুযায়ী বেতন নিচ্ছি। এটি অপরাধ নয়। অপরাধ হবে তখন, যখন আমরা যে প্রতিশ্রুতি করছি তার চেয়ে বেশি সেবামূল্য নেওয়া হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে টাকা নেওয়া যাবে না এমনটা সঠিক নয়। সেটি হলে দেশের সব শিক্ষক অপরাধী হয়ে যাবে। শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য আছে। তবে কোচিং বন্ধ রাখলে বৈষম্য আরও বাড়বে। আমরা নিজস্ব কিছু নীতিমালা তৈরি করছি। নীতমালায় আনার মাধ্যমে আমরাই তাদের সঙ্গে ফাইট করবো।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আরেফিন, সামসেয়ারা খান ডলি, আকমল হোসেন, পলাশ সরকার প্রমুখ।