‘গণহত্যা বিস্মৃতির সুযোগে বিএনপি-জামায়াত অপরাজনীতি করেছে’

গণহত্যা বিষয়ে গবেষণা তথ্য উপস্থাপন করছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনমহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিষয়টি বিস্মৃত হয়েছে। আর এই সুযোগে বিএনপি-জামায়াত জোট অপরাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের জরিপের তথ্য তুলে ধরে এসব কথা বলেন সংস্থাটির ট্রাস্টি সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।

তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে তখন এমন কোনও পরিবার ছিল না যারা নির্যাতনের শিকার হয়নি, হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের শিকার হয়নি। পরিবারের একজনকে ধর্ষণ করে একটা পরিবারকে ধ্বংস করা হয়েছে। গণহত্যার বিষয়টি আমরা বিস্মৃত হয়েছি। এই সুযোগে অপরাজনীতি করেছে বিএনপি-জামায়াত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বা ১৪ দল বা আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক , তারা গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছি। এটাও রাজনীতির একটি দিক, কেননা মুক্তিযুদ্ধ তো একটি রাজনীতির বিষয়। আমরা এই রাজনৈতিক সত্যটি তুলে ধরতে চেয়েছি। আজকে গণহত্যার দিনটি জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করছি। এখন সবাই গণহত্যার কথা মনে রাখতে পারছেন।’
মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর জেনারেল জিয়া, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়া ও নিজামী যে কাজগুলো করেছেন তা হলো গণহত্যা নিয়ে তারা রাজনীতি করেছেন। তারা গণহত্যার বিষয়টিকে মুছে দিতে চেয়েছেন। কারণ, গণহত্যার বিষয়টি থাকলে তাদের রাজনীতি থাকে না। কেননা, তারা পাকিস্তানের হয়ে রাজনীতি করছিলেন। পাকিস্তানের এজেন্ডা পরিপূর্ণ করার জন্য, আল বদরদের জন্য তারা কাজ করেছেন। এই রাজনীতি করার জন্য তারা বারবার বিজয়ের কথা বলছে। কারণ, বিজয়ের কথা বললে তারা জেনারেল জিয়াকে উপস্থাপিত করতে পারছে। সুতরাং বিজয়টাকে তারা প্রাধান্য দেয়। আমাদের মাথায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে ‘বিজয়’। কিন্তু খালি বিজয় দেখলে মুক্তিযুদ্ধের যে নিদারুণ যন্ত্রণা, সেটা কিন্তু আমরা পাই না।’
যারা ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা আসলে অপরাজনীতিই করেন বলে মন্তব্য করেন মুনতাসীর মামুন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ।