অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা পেলেন ১০ নারী

অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তরা জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ‘অনন্যা শীষদর্শ সম্মাননা ২০১৮’ প্রদান উপলক্ষে শনিবার (২৩ মার্চ) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পাক্ষিক অনন্যা। অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত নারীদের উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক।

এবারের সম্মাননাপ্রাপ্ত নারীরা হলেন– চিকিৎসায় ডা. সায়েবা আক্তার, ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে পারভীন মাহমুদ, প্রশাসনে এসপি শামসুন্নাহার, উদ্যোক্তায় আফরোজা খান, কুটিরশিল্পে সোনা রানী রায়, সাংবাদিকতায় লাইলী বেগম, তারুণ্যের আইকন নাজমুন নাহার, নৃত্যশিল্পী সুইটি দাস চৌধুরী, খেলায় রুমানা আহমেদ  ও প্রযুক্তিতে ফাতেমা খাতুন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নৃত্যশিল্পী সুইটি দাস ও তার দল মণিপুরী নৃত্য প্রদর্শন করেন। এরপর এবারের দশজন নারীর উপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। তবে, বিশেষ কাজে অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি ড. সায়েবা আক্তার ও শামসুন্নাহার। তাদের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা এ সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন।

এ অনুষ্ঠানে পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, ‘এখনও সময়টা নারীদের জন্য খুব অনুকূল নয়। যৌন নিগ্রহ সমাজ থেকে এখনও দূর করা যায়নি। উগ্র মৌলবাদীরা নারীর অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। নিজেদের বঞ্চনার কথা বলতে এখনও মেয়েরা ভয় পায়।’

সম্মাননাপ্রাপ্ত ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ বলেন, ‘ক্রিকেটে আমরা নারী-পুরুষ সমানভাবেই এগিয়ে যেতে চাই। আমরা এশিয়া কাপ জয় করে দেখিয়ে দিয়েছি, পুরুষ দলের চেয়ে এগিয়ে আছি। আমরা সবাই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি।’

বিশ্বের ১২৫ দেশ ভ্রমণকারী নাজমুন নাহার বলেন, ‘আমি সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ, ১২৫টি দেশ ঘুরেছি। স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে বিশ্বের দুশ’টি দেশ ভ্রমণের প্রত্যাশা রয়েছে। আত্মপ্রত্যয় থাকলে পৃথিবী জয় করা সম্ভব।’

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক লাইলী বেগম বলেন,  ‘মফস্বলে মেয়েদের সাংবাদিকতা করা খুব কঠিন। কিন্তু আমি সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।’

১৯৯৩ সাল থেকে অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।