শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হননি নন-এমপিও শিক্ষকরা

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিএমপিওভুক্তির দাবিতে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ২১ মার্চ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় অবস্থান করছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত হতে পারেননি নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা অনেকবার আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু তার কোনও বাস্তবায়ন পাইনি। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য আমরা সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করেছি। কিন্তু তার বক্তব্যে আমরা কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাইনি। তার কথায় আমরা আশ্বস্ত হতে পারিনি।’

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করতে বলেন, ‘গত ১০ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছেন। এখনও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো এমপিওভুক্ত হয়নি। এমপিওভুক্তির সঙ্গে যেহেতু সরকারের আর্থিক বিষয়টিও জড়িত, তাই এ বিষয়ে অনেক ভেবে-চিন্তে সরকারকে  সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন চাওয়া হয়েছে। চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা পুরো জিনিসটিকে একেবারে প্রায় শেষপর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আশা করছি, হয়তো এক-দেড় মাসের মধ্যে ঘোষণাটি দিতে পারবো। আগামী অর্থবছর থেকে আমরা এমপিওভুক্তির কাজ শুরু করতে পারবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দিনরাত কাজ চলছে; আমাদেরকে এই কাজগুলো করার সময়টুকু দিতে হবে। আমরা এটি চূড়ান্ত করে ফেলেছি প্রায়। আপনারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বাড়িতে ও কর্মস্থলে ফিরে যাবেন। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যতোটুকু করণীয় আমরা তার সবটুকু করব। এই প্রতিশ্রুতি আমি আপনাদের দিচ্ছি।’