‘চেতনায় বাঙালি সংস্কৃতি, উগ্রবাদ নয় সম্প্রীতি’

রাজধানীতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সিটিটিসির শোভাযাত্রাসন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানের বাইরেও ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডে দেখা গেছে সিটিটিসির সদস্যদের। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ‘চেতনায় বাঙালি সংস্কৃতি, উগ্রবাদ নয় সম্প্রীতি’ স্লোগানকে সামনে রেখে জনসেবা ও সচেতনতামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন তারা।

রমনা বটমুলে আইজি জাবেদ পাটোয়ারী ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ারবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় আগত মানুষের মাঝে খাবার পানি, হাতপাখা, হেডব্যান্ড বিতরণ করতে দেখা গেছে সিটিসিটির সদস্যদের। এছাড়া, এসব এলাকায় বসানো হয় সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ডামি। অনেকে এসব ডামির পাশে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছেন।

বর্ষবরণে আগতদের হাতে পানির বোতল তুলে দিচ্ছেন সিটিটিসির সদস্যরাসচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রমনা পার্কে সাব- কন্ট্রোল রুমের সামনে থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল র‌্যালির উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলামসহ সিটিটিসি এবং ডিএমপির পুলিশ সদস্যরা র‌্যালিতে অংশ নেন। কয়েকজন অভিনেতা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষকেও এ র‌্যালিতে অংশ নিতে দেখা যায়।

সোয়াটের ডামির ছবি তুলছে একটি শিশুসিটিটিসি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মুহিবুল ইসলাম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিয়মিত অপারেশনাল কার্যক্রমের পাশাপাশি নতুন বছরের শুরু থেকে এবার আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্লাটফর্ম তৈরির কাজ শুরু করেছি। এরই অংশ হিসেবে আজ সিটিটিসির পক্ষ থেকে এসব আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া, এটি আমাদের প্রজেক্টেরও অংশ। সরকারিভাবে একটি প্রজেক্টও অনুমোদন হয়েছে। ভবিষ্যতে জনসচেতনতা তৈরিতে আরও বেশি করে এ ধরনের কাজ করা হবে।’