কিশোরীদের স্থূলতা ও অনিয়মিত মাসিকে অবহেলা নয়





২২২২

কিশোরী স্থূল হলে এবং তার মাসিক অনিয়মিত হলে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গাইনিকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রাণী দাস এ কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ’র অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গাইনিকোলজি বিভাগের উদ্যোগে শহীদ ডা. মিলন হলে এ সেমিনার হয়।
ডা. তৃপ্তি রাণী দাস বলেন, ‘এই রোগটিকে আমরা পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রম (পিসিওএস) বলি। এটা অ্যাডোলোসেন্ট হেলথ প্রবলেম। আমাদের কিশোরী মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়ার সময় কারো কারো ক্ষেত্রে স্থূলতা দেখা দেয়, মুখে দাড়ির মতো ওঠে, মাসিক অনিয়মিত হয়। এটা ৯-১০ বছরের দিকে ঘটে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘এটাকে আমরা কিছুটা জেনেটিক ও কিছুটা হরমোনজনিত সমস্যা বলি। যারা স্থুল হয়ে যায় তারা পরে ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও জরায়ুর ক্যানসারের মতো রোগে ভোগে। শুরুতে ধরতে পারলে তারা এগুলো থেকে রক্ষা পাবে। আবার এরা খুবই লজ্জায় ভোগে এবং মানুষকে এড়িয়ে চলতে চায়।’ এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার। আয়োজক বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।